logo

শিরোনাম

শারীরিক প্রতিবন্ধী জুলিয়ার চাকরি পেলেন যুবদলের সহযোগিতায়

নিউজ সেভেন্টি ওয়ান ডট টিভি ডেস্ক
প্রতিবেদন প্রকাশ: ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ | সময়ঃ ১২:০০
photo
শারীরিক প্রতিবন্ধী জুলিয়ার চাকরি পেলেন যুবদলের সহযোগিতায়

মোঃ রাহিদ হোসেন, মুন্সীগঞ্জ
মুন্সীগঞ্জ সরকারি হরগঙ্গা কলেজের অনার্স তৃতীয় বর্ষের হিসাববিজ্ঞান বিভাগের ছাত্রী শারীরিক প্রতিবন্ধী জুলিয়া আক্তার যুবদলের সহযোগিতায় চাকরি পেয়েছেন। তিনি মুন্সিগঞ্জের  ডি-হেলথকেয়ার ডায়াগনস্টিক সেন্টারে অভ্যর্থনাকারী হিসেবে যোগদান করবেন।

সোমবার সকাল ১১টায় হরগঙ্গা কলেজের অধ্যক্ষের কার্যালয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে জুলিয়ার হাতে নিয়োগপত্র তুলে দেওয়া হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন মুন্সীগঞ্জ জেলা যুবদলের স্থগিত সদস্য সচিব মাসুদ রানা ও ডি-হেলথকেয়ার ডায়াগনস্টিক সেন্টারের ম্যানেজিং ডিরেক্টর মোঃ আক্তার হোসেন।

 

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর নাজমুন নাহার, উপাধ্যক্ষ প্রফেসর মোঃ কামরুজ্জামান খান, প্রফেসর মোঃ আঃ মান্নান প্রধান, সহযোগী অধ্যাপক ফারুক মিয়া, সহযোগী অধ্যাপক মোহাম্মদ জামাল হোসেন, প্রফেসর আবু আহমদ আহসান কবির, প্রফেসর মোঃ হুমায়ুন কবির সেখ, সহকারী অধ্যাপক মোহাম্মদ নাসিরুদ্দিন, প্রভাষক সুলতান মাহমুদসহ কলেজের অন্যান্য শিক্ষকবৃন্দ। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন হরগঙ্গা কলেজের সাবেক ভিপি সাহারিয়া, যুবদল ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা।

 

অধ্যক্ষ প্রফেসর নাজমুন নাহার বলেন,
“গত বছর জুলাই মাসের আন্দোলনের মাধ্যমে দেশে অশুভ শক্তির অবসান হয়েছে এবং ভালো কাজের সূচনা হয়েছে। যুবদল আজকে আমাদের অনার্স তৃতীয় বর্ষের শারীরিক প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থী জুলিয়া আক্তারকে চাকরির সুযোগ করে দিয়েছে। আমরা চাই ভবিষ্যতে রাজনীতি এভাবেই মানবিক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে এগিয়ে যাক।”

 

ডি-হেলথকেয়ার ডায়াগনস্টিক সেন্টারের ম্যানেজিং ডিরেক্টর মোঃ আক্তার হোসেন জানান,
“সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি ভিডিও দেখে যুবদলের স্থগিত সদস্য সচিব মাসুদ রানা আমাকে বিষয়টি জানান। পরে আমি আমার ডায়াগনস্টিক সেন্টারে তার চাকরির ব্যবস্থা করি।”

 

যুবদলের স্থগিত সদস্য সচিব মাসুদ রানা বলেন,
“আমি ফেসবুকে দেখতে পাই আমাদের হরগঙ্গা কলেজের এই শারীরিক প্রতিবন্ধী ছাত্রী টাকার অভাবে পড়াশোনা চালিয়ে যেতে পারছে না। তাই যুবদলের পক্ষ থেকে আমি তার জন্য ১৫ হাজার টাকা বেতনের চাকরির ব্যবস্থা করি। পাশাপাশি প্রতি মাসে যাতায়াত খরচ বাবদ অতিরিক্ত ৪ হাজার টাকা দেওয়া হবে।”

 

চাকরির সুযোগ পেয়ে আবেগাপ্লুত জুলিয়া আক্তার বলেন,
“আমার এই চাকরিটি খুব প্রয়োজন ছিল। টাকার অভাবে পড়াশোনা চালিয়ে যেতে পারছিলাম না। এখন আমি পড়াশোনা চালিয়ে যেতে পারব। এজন্য আমি যুবদলের মাসুদ রানা ভাইকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই।”

  • নিউজ ভিউ 486