নিজস্ব প্রতিনিধি : সর্বহারা প্রবাসী শ্রমিকের আহাজারি ও আর্তনাদে ভারি হয়ে উঠছে আকাশ বাতাস। একটু সুখের আশায় সহায় সম্বল বিক্রি করে সুদে টাকা নিয়ে ৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা খরচ করে বৈধ কন্ট্রাক্ট ভিসা, বিএমইটি ছাড়পত্র, কাজের চুক্তিপত্র নিয়ে সৌদি আরব এসে দীর্ঘ ৮ মাসে কোন কোম্পানিতে কাজ না পেয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছে মুন্সিগঞ্জ সদর উপজেলার মোল্লা কান্দি ইউনিয়নের নোয়াদ্দা গ্রামের মজিবর জমাদারের ছেলে হৃদয় হোসেন।
হৃদয় হোসেনের বোন সুমাইয়া আক্তার বলেন একই গ্রামের বাসিন্দা সৌদি প্রবাসী কামাল সরদার আমার ভাইকে চার লক্ষ পঞ্চাশ হাজার টাকায় ফ্রি ভিসায় সৌদি নিয়ে আকামা করে চাকরির ব্যবস্থা করে দেয়ার কথা থাকলেও উল্টো বিদেশ নেওয়ার পর সাত-আট মাস পার হয়ে গেল আকামা করে না দেওয়ায় মানবতর জীবন যাপন করেন।
আমার ভাই হৃদয় হোসেন পরবর্তী সময় সেখান থেকে পালিয়ে আমার আত্মীয়র কাছে ওঠে এবং নিজেই টাকা খরচ করে আকামা করেন। আমার ভাই বিদেশ থেকে জানায় তাকে আকামা করে দেয়া হয়নি তার নিজ খরচে আকামা করতে হয়েছে। তাই আমাদের শর্ত পূরণ না করায় আমাদের টাকা ফেরত দিতে হবে ।
এ বিষয়ে সৌদি প্রবাসী কামাল সরদার বলেন আমি তাকে সৌদি আরব ফ্রি ভিসাদিয়ে নিয়ে যাই সেখানে যাওয়ার পরে প্রথমে তিন মাসের আকামা করে দেই। পরবর্তী সময়ে আকামা করে দিতে চাইলে সে আমাদের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করেনি। ৷ তবে এখন আমি দেশে আসলে হৃদয়ের পরিবার আমার কাছে টাকা দাবি করছে।
এদিকে জানা যায় এই বিষয়ে গত ১৯ এপ্রিল বিকাল তিনটায় নিজ বসতবাড়িতে বিষয়টি নিয়ে মীমাংসা করার চেষ্টা করলে বিবাদী কামাল শেখ ও নুরুদ্দিন সরদার মীমাংসা না করেই চলে যায় ।
এ বিষয়ে মুন্সিগঞ্জ সদর থানায় হৃদয়ের বোন সুমাইয়া আক্তার উনিশে ১৯এপ্রিল বিকালে একই গ্রামের প্রবাসী কামাল সরদার ও তার উদ্দিন সরদারের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।