মো. সালমানঃ ঢাকা মহানগর দক্ষিণে সিটি কর্পোরেশনের ৩৫ নং ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদক ও বংশালে মিলাত উচ্চ বিদ্যালয়ের,আ্যডহক কমিটির সভাপতি এস আই ফারিয়াদের উপর কাউন্সিলর আবু সাহিদ হামলা। গত মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানী বংশাল এলাকায় মিলাত স্কুলের সামনে এ ঘটনা ঘটে। স্থানীয় এলাকাবাসী জানান, মিল্লাত স্কুলের ম্যানেজিং আ্যডহক কমিটি নিয়ে আলোচনা পরিপেক্ষিতে এ ঘটনার সূত্রপাত। এস আই ফারিয়াদ ম্যানেজিং কমিটির আ্যডহক সভাপতি হওয়ার পর থেকেই সুন্দর ভাবে স্কুল কমিটি পরিচালনা করে আসছিল।
৩৫ নং কাউন্সিলর আবু সাঈদ এর আধিপত্য বিস্তারে, এবং নিজের দলীয় লোকজনদের স্কুল কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত করার চেষ্টায়, উদ্দেশ্য মূলকভাবে এস আই ফারিয়াদের ওপর হামলা চালায়। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ৩৫ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আবু সাঈদের নেতৃত্বে ও ৩৫ নং ওয়ার্ড যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আশিকের নেতৃত্বে ৩৫ হতে ৪০ জন অস্ত্র ও লাঠির আঘাতে এস আই ফারিয়াদের উপরে এ হামলা চালায়। হামলার সময় এস আই ফারিয়াদ ও রাব্বি রহমান রনক আহত হন, এরমধ্যে গুরুতর আহত হন এস আই ফারিয়াদ হামলাকারীরা হামলা শেষ ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যান। এছাড়াও জানা গেছে কাউন্সিলর আবু সাঈদ এস আই ফারিয়াদকে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন কলা,কৌশলে প্রকাশ্যে উদ্দেশ্যে করে সরাসরি হুমকি দিয়ে আসছে। তা ছাড়া ও বলেন আমরা কাছে এমপি,মন্ত্রী গোনার সময় নাই আরতো এই বংশাল এলাকায় আমি যা বলবো যে ভাবে বলবো সেভাবেই চলবে।
এলাকাবাসী ঘটনাস্থল থেকে এস আই ফারিয়াদকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল নিয়ে গেলে সেখান থেকে, পরে আর একটি বেসরকারি হাসপাতালে প্যানারোমাতে ভর্তি রাখেন ৪ দিন তার পরিবার থাকে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এস আই ফারিয়াদের পরিবার বংশাল থানায় একটি মামলা দায়ের করতে চাইলে, নিতে রাজি হয় না বলে জানান এস আই ফারিয়াদের বড় ভাই পরে একটা সাধারণ ডায়েরি করে ২৪-০৫-২০২২ তারিকে বংশাল থানায়।
এস আই ফারিয়াদ হাসপাতালে ভর্তি রত অবস্থায় তাকে দেখতে ছুটে আসেন, সংসদ সদস্য ৩০২ আসনের সংরক্ষিত মহিলা জিন্নাতুল বাকিয়া, ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আওয়ামী লীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক হাজী ইসমাইল হোসেন, ও এমপি হাজী সেলিমের বড় ছেলে সোলাইমান সেলিম ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব হুমায়ুন কবির, বংশাল থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ্ব গোলাম মোস্তফা, বংশাল থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সিরাজ উদ্দিন বাদল,৩৩ নং ওয়ার্ডের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক,৩৫ নং ওয়ার্ডের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক, সাবেক বংশাল থানা ছাত্রলীগের সভাপতি ইমরান হোসেন জন, সহ স্থানীয় দলীয় নেতা কর্মী বৃন্দ। দেখতে আসা এস আই ফারিয়াদকে নেতৃবৃন্দরা আশ্বাস দেন ঘটনায় জড়িত যারা আছেন তাদের জন্য দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা নেয়া হবে। এবং আইনি প্রক্রিয়া যথাযথ ব্যবস্থা ও নেওয়া হবে, হামলার শিকার এসআই ফারিয়া এর পরিবার ষুষ্ঠ বিচার ও সঠিক তদন্ত দাবি করে নেতৃবৃন্দ দের কাছে।