সালমান হাসান, মুন্সীগঞ্জ
মুন্সীগঞ্জে টংগীবাড়ী উপজেলার ব্রাহ্মণভিটা ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক"মোঃ শাহেনেওয়াজ সরকার ওরুফে রুমান (৪৫) পিতা সামছুদ্দিন আহমেদ"ইংরেজি শিক্ষক।
সে ঐ বিদ্যালয় দীর্ঘ ৮ হতে ১০ বছর জাবদ ইংলিশের শিক্ষক হিসেবে কর্মরত রয়েছেন,তার বাড়ী মুন্সীগঞ্জ সদর থানাধীন দক্ষিণ ইসলামপুর মুন্সীগঞ্জ পৌরসভা।
ভুক্তভোগী সাদিয়া নামের শিক্ষার্থী (এস এস সি) ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের ছাত্রী ছিলেন,বয়স (১৯) এবং বর্তমানে ভুক্তভোগী মুন্সীগঞ্জের টংগীবাড়ী উপজেলার সেরাজাবাদ রানা শফিউল্লাহ কলেজের ২য় বর্ষের শিক্ষার্থী।
বৃহস্পতিবার ১৩ সেপ্টেম্বর বিকালে ভুক্তভোগী নিজেই এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন সাক্ষাৎকারে।
এ ঘটনায় শিক্ষার্থীর মা ও শিক্ষার্থী ব্রাহ্মণভিটা ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয়ে এসে প্রধান শিক্ষক (সুমন মোহাম্মদ আহসানউল্লাহর) নিকট ঘটনার বিস্তারিত বলেন এবং মৌখিকভাবে অভিযোগ করেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, অভিযুক্ত শাহনেওয়াজ সরকার এর সাথে ভুক্তভোগী ছাত্রীকে প্রাইভেট ও কোচিং পড়ানোর মাধ্যমে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে প্রায় দেড় বছর যাবত।
দীর্ঘদিন প্রেমের সম্পর্কের এক পর্যায়ে প্রাইভেট পড়ানোর কক্ষে স্বাক্ষী বিহীন নাটকীয় ভাবে শিক্ষক নিজেই কাজি সেজে নিজেই বিয়ে করে শিক্ষার্থীকে।
এরপর নারায়ণগঞ্জে তার ভাইয়ের বাড়িতে নিয়ে একাধিক বার শারীরিক সম্পর্কে জড়ায় শিক্ষক শাহেনেওয়াজ।
বিয়ে রেজিস্ট্রির কথা বললে গত পহেলা ফেব্রুয়ারিতে ভুক্তভোগীর জন্মদিনে বিয়ে রেজিস্ট্রি করবে বলে জানায়।
কিন্তু ফেব্রুয়ারি মাস এলে নানা ধরনের তাল বাহানা শুরু করে শিক্ষক,এক পর্যায়ে বিয়ে করবে না বলে জানায় শিক্ষার্থীকে।
এ দিকে উপায় না পেয়ে স্কুলের প্রধান শিক্ষকের নিকট এর সমাধান চায় ভুক্তভোগী ও তার মা"কিন্তু তিনিও কোনো সমাধান দিতে পারেননি।
ভুক্তভোগীর অভিযোগ শাহনেওয়াজ বিয়ের কথা বলে প্রতারণা করেছে (একাধিক বার ধর্ষণ করেছে) এই প্রতারণার বিচার চায় ভুক্তভোগীর পরিবারের সদস্যরা।
"অভিযুক্ত শাহনেওয়াজ সাথে মোবাইল ফোনে একাধিক বার যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও তাকে পাওয়া যায়নি।
এবং কি এক পর্যায়ে তার কর্মস্থল থেকে তার বাড়ির ঠিকানা নিয়ে সংবাদকর্মীরা তার বাসায় যায় ঘটনার বিস্তারিত জানার জন্য।
তার বাড়িতে গিয়ে দেখা যায় তালাবদ্ধ তার বাড়ি, আশপাশে খোঁজ করে তাঁর শশুর বাড়ি যায় সংবাদকর্মীরা।
শ্বশুরবাড়ি খোঁজ করে সংবাদকর্মীরা সেখান থেকেও তাকে কোনভাবেই যোগাযোগ করে পাওয়া যায়নি"।
এবিষয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক (সুমন মোহাম্মদ আহসানউল্লাহ) বলেন ,১৫ দিন আগে ভুক্তভোগী ও তার মা বিদ্যালয়ে এসে ঘটনার বিস্তারিত জানায়।
তবে এ ব্যাপারে অভিযুক্ত শাহনেওয়াজ সরকার ঘটনাটি মিথ্যা বলে জানায়,ঘটনার তদন্ত করে ব্যবস্থা নিবে বলেও জানায় তিনি।
এ ব্যাপারে উপজেলার মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার শরীফ মোহাম্মদ মোর্তজা আহসান সাংবাদিকদের বলেন অভিযোগ পেলে তদন্তসাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।