অনলাইন ডেস্ক
শাওয়াল মাসের রোজার ফজিলত ও করণীয়
আজ শুক্রবার। বরকতময় শাওয়াল মাসের দ্বিতীয় জুমা।
১৭ মে ২০২৪ ইংরেজি, জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বাংলা, ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরি। আজকের আলোচ্য বিষয়- শাওয়াল মাসের রোজার ফজিলত ও করণীয়।
রমজানের পরের মাস শাওয়াল। এ মাসের রোজার ফজিলত ও করণীয় অনেক। এ মাস মুসলিম উম্মাহর কাছে অত্যন্ত গুরুত্ববহ। কারণ রমজানের রোজা পালনকারীরা এ মাসের ৬টি রোজা রাখলেই সারাবছর রোজা রাখার সওয়াব পায়। এ সম্পর্কে হাদিসের অনেক বর্ণনা রয়েছে।
‘শাওয়াল’ শব্দটি আরবি। এর অর্থ হলো উঁচু করা, উন্নতকরণ, পাল্লা ভারী হওয়া, গৌরব করা, বিজয় লাভ করা, প্রার্থনায় হাত উঠানো ইত্যাদি। প্রতিটি অর্থের সঙ্গেই শাওয়াল মাসের রয়েছে গভীর সম্পর্ক ।
শাওয়াল মাসের আমলে উন্নতি লাভ হয়, নেকির পাল্লা ভারী হয়, আমলে সাফল্য আসে, কল্যাণ প্রত্যাশী আল্লাহর কাছে উভয় হাত প্রসারিত করে প্রার্থনায় মগ্ন হয়। রমজানের পূর্ণ মাস রোজা পালনের পর আরও কয়েকটি রোজা রাখার আনন্দে বিভোর হয় মুমিন। যে রোজার বরকতে বছরজুড়ে রোজা রাখার সওয়াব মিলে। এ সবই শাওয়াল মাসের আমলের সার্থকতা।
শুধু তা-ই নয়, শাওয়ালের সুন্নাত আমলে হলো বিয়ে শাদি করা। হাদিসে পাকে এসেছে-
হজরত আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা বর্ণনা করেছেন, শাওয়াল মাসে বিয়ে-শাদি করা সুন্নত, যেরূপ শুক্রবারে ও জামে মসজিদে ও বড় মজলিশে আক্দ অনুষ্ঠিত হওয়া সুন্নত। কারণ, মা আয়েশার বিয়ে শাওয়াল মাসের শুক্রবারে মসজিদে নববিতেই হয়েছিল। ছয় রোজা শাওয়াল মাসের বিশেষ সুন্নত।’ (মুসলিম)
শাওয়াল মাসে ছয়টি রোজা রাখা মূলত সুন্নত। যেহেতু রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নিজে তা আমল করেছেন এবং আমল করার নির্দেশ দিয়েছেন। কিন্তু পরিভাষায় এগুলোকে নফল রোজা বলা হয়। কারণ, এগুলো ফরজ ও ওয়াজিব নয়, অতিরিক্ত তথা নফল। এ মাসে ছয়টি নফল রোজা রাখা সুন্নত। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন-
‘যারা রমজানে রোজা পালন করবে এবং শাওয়ালে আরও ছয়টি রোজা রাখবে; তারা যেন সারা বছরই রোজা পালন করল।’ (মুসলিম, আবু দাউদ, তিরমিজি, নাসাঈ, ইবনে মাজাহ)
জানার বিষয় হচ্ছে, শাওয়াল মাসের এ রোজা কখন রাখবেন? এ রোজা রাখার উপকারিতা কী? রমজানের কাজা রোজা থাকলে এ রোজা রাখার হুকুম কী? আরও অনেক বিষয় জানার আছে। তাহলো-
শাওয়াল মাসের যে কোনো সময় এই রোজা রাখা যায়। ধারাবাহিকভাবে বা মাঝে মাঝে বিরতি দিয়েও আদায় করা যায়। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম শাওয়াল মাসে ৬টি নফল রোজা রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। শাওয়াল মাসের ৬ রোজা প্রসঙ্গে অনেকেরই বিশেষ ৯টি প্রশ্ন আছে। যেগুলোর উত্তর অনেকেই জানেন না। তাদের জন্য বিষয়গুলো তুলে ধরা হলো-
১. শাওয়াল মাসে ৬টি নফল রোজা রাখালে কী উপকার হবে?
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি রমজান মাসের রোজা রাখলো এরপর শাওয়াল মাসে (পুরো শাওয়াল মাসের মধ্যে যে কোনো সময়) ৬টি রোজা রাখলো; ওই ব্যক্তি সারাবছর রোজা রাখার সমান সাওয়াব পাবে।’ (মুসলিম)
কেন সারা বছর রোজা রাখার সাওয়াব পাবে?
ইমাম নববি রাহমাতুল্লাহি আলাইহি শাওয়ালের ৬ রোজার ফজিলত সম্পর্কে বলেছেন, রমজান মাস ২৯/৩০ হয়ে থাকে। যদি ৩০ ধরা হয় আর শাওয়ালের ৬ রোজা ধরা হয় তবে রোজা হয় ৩৬টি। আর আল্লাহ তাআলার ঘোষণা-
‘যে ব্যক্তি কোনো ভালো কাজ করে, আল্লাহ তাআলা তাকে ১০গুণ বাড়িয়ে দেন।’
সে হিসেবে ৩৬টি রোজায় ১০ গুণ সওয়াব পেলে ফলাফল হয় ৩৬০ দিন তথা পুরো বছর রোজা রাখার সওয়াব। আর এভাবেই সারা বছর রোজা রাখার সাওয়াব পায় রমজানের রোজা রাখার পর শাওয়ালের ৬ রোজা পালনকারী রোজাদার।‘
২. শাওয়ালের রোজা কি রমজানের রোজা কবুল হওয়ার প্রমাণ?
রমজানের রোজা কবুল হওয়ার একটি আলামত হলো- রমজানের রোজা পালনকারী ব্যক্তির শাওয়ালের রোজা রাখা। যদি কারো রমজানের রোজা কবুল হয় তবে আল্লাহ তাআলা ওই বান্দাকে শাওয়ালের ৬ রোজা রাখার তাওফিক দান করেন।
কারণ কোনো আমল কবুল হয়েছে কিনা তার আলামত হচ্ছে- আগের নেক আমলের ধারা পরবর্তীতে ধরে রাখা। যেমনিভাবে রমজানের রোজা পালনকারী রমজান পরবর্তী শাওয়াল মাসে আবারও রোজা পালনে নিজেকে আত্মনিয়োগ করে। আর তা হয়ে থাকে আল্লাহর পক্ষ থেকে।
৩. শাওয়ালের রোজা কি একটানা রাখতে হবে?
শাওয়ালের রোজা কি একটানা রাখতে হবে নাকি বিরতি দিয়ে আলাদা আলাদা রাখা যাবে। এর সঙ্গে রোজা হওয়া-না হওয়ার বিষয় জড়িত আছে কিনা। এর উত্তর হলো-
‘শাওয়ালের ৬টি রোজা একটানা না রেখে বিরতি দিয়ে আলাদা আলাদা রাখলেও আদায় হয়ে যাবে। কেউ যদি একটানা রোজা রাখে তাতেও আদায় হয়ে যাবে।’
কারণ হাদিসের কোনো বর্ণনায় শাওয়ালের ৬ রোজা একসঙ্গে রাখার ব্যাপারে কোনো শর্ত দেওয়া হয়নি।
৪. শাওয়ালের রোজা রাখার সহজ উপায় কী?
সাপ্তাহিক ও মাসিক (আইয়্যামে বিজ) রোজার সঙ্গে মিল রেখে সহজেই শাওয়ালের রোজাগুলো রাখা যায়। আর এতে বেশি কষ্টও হয় না। কারণ সপ্তাহের সোমবার ও বৃহস্পতিবার রোজা রাখলেই পুরো মাসে সহজে ৬টি রোজা রাখা সহজ হয়ে যায়। আবার আইয়্যামে বিজের ৩টি রোজা একসঙ্গে রেখে অন্য সময়ে ৩টি রোজা রাখার মাধ্যমেও ৬ রোজা রাখা যায়। তবে কেউ যদি একটানা ৬টি রোজা রাখে তাতেও কোনো সমস্যা নেই।
৫. শাওয়ালের রোজার নিয়ত কখন করতে হবে?
শাওয়ালের ৬ রোজার নিয়ত সন্ধ্যায় কিংবা রাতেই করতে হবে। পরের দিন সূর্য ওঠার পর করলে হবে না। পবিত্র রমজান মাসে ভোর রাতে ওঠার একটা অভ্যাস তৈরি হয়ে যায়। সে সময় সেহরি খেয়ে রমজানের রোজা পালনকারীরা রোজার নিয়ত করে থাকেন।
শাওয়ালের ৬ রোজার ক্ষেত্রে কারো যদি ঘুম থেকে ওঠার পর স্মরণ হয় বা মনে করে যে, রাতে তো সেহরি খাওয়া হয় নাই; সুতরাং শাওয়ালের ৬ রোজার নিয়ত করে ফেলি। তবে কি রোজা হবে?
‘না’, এমনটি করলে রোজা হবে না। কারণ শাওয়ালের ৬ রোজাসহ নফল রোজা রাখার ক্ষেত্রে নিয়ত করতে হবে রাত থেকে। কেউ যদি সন্ধ্যা রাতে নিয়ত করে ফেলে যে, আমি আগামীকাল রোজা রাখবো আর দিনের বেলা রোজা পালন করে তবে ওই ব্যক্তির রোজা হয়ে যাবে। কিন্তু সন্ধ্যা বা রাতে নিয়ত না করে সূর্য ওঠার পর ঘুম থেকে ওঠে রোজার নিয়ত করলে রোজা হবে না।
৬. রমজানের কাজা বা ভাঙতি রোজা থাকলে আগে কোন রোজা রাখতে হবে?
হ্যাঁ, অবশ্যই আগে রমজানের ভাঙতি/কাজা রোজা রাখতে হবে। তারপর শাওয়ালের ৬ রোজা রাখবে। কারণ শাওয়ালের রোজার সওয়াব ঘোষিত হয়েছে তাদের জন্য যারা রমজানের রোজা পূর্ণ করেছে। কেননা হাদিসে এমনই নির্দেশনা ও শর্ত দেওয়া হয়েছে।
আর রমজানের রোজা পালনকারী ব্যক্তি শাওয়ালের ৬ রাখলেই কেবল ৩৬ দিন পূর্ণ হবে। আর তা ৩৬০ দিনের সওয়াব হিসেবে পরিগণিত হবে।
সুতরাং যদি কারো অসুস্থতা বা সফরের কারণে ভাঙতি রোজা থাকে। আর মা-বোনদের নিয়মিত অসুস্থতার কারণে ভাঙতি রোজা থাকে তবে তা আগে আদায় করতে হবে। তারপর শাওয়ালের ৬ রোজা রাখতে হবে।
৭. সাপ্তাহিক ও আইয়্যামে বিজের রোজার পালনের সময় শাওয়ালের ৬ রোজার নিয়ত করলে হবে কি?
সাপ্তাহিক সোম ও বৃহস্পতিবার এবং আইয়্যামে বিজ তথা চন্দ্র মাসের ১৩-১৪-১৫ তারিখ রোজা রাখা সুন্নত। এখন কেউ যদি এ রোজাগুলো রাখার সময় শাওয়ালের ৬ রোজার নিয়ত করে তবে শাওয়ালের রোজা আদায় হবে কি?
হ্যাঁ, সাপ্তাহিক ও মাসিক (চন্দ্র মাসের ১৩, ১৪, ১৫ তারিখ) রোজা রাখার সময় কেউ যদি শাওয়ালের ৬ রোজা রাখার নিয়ত করে তবে তার শাওয়ালের রোজা আদায় হয়ে যাবে। ইনশাআল্লাহ। তবে যে কোনো একটির নিয়ত করতে হবে। হয় সাপ্তাহিক/মাসিক রোজার নিয়ত নতুবা শাওয়ালের ৬ রোজার।
৮. শাওয়াল মাসে ৬ রোজা না রেখে পরের কোনো সময় এ রোজা রাখলে হাদিসে ঘোষিত সওয়াব পাওয়া যাবে কি?
‘না’, শাওয়াল মাস চলে যাওয়ার পর (অন্য মাসে) ৬ রোজা (কাজা) রাখলে হাদিসে ঘোষিত ৬ রোজায় সারাবছর রোজা রাখার সওয়াব পাওয়া যাবে না। কারণ ৬টি রোজা রমজানের রোজা পালনকারীর জন্য শাওয়াল মাসের মধ্যে রাখার শর্ত দেওয়া হয়েছে। যারা শর্ত পূরণ করতে পারবে, তারাই বছরজুড়ে রোজা রাখার সওয়াব পাবে। এ সওয়াব শাওয়াল মাসে রোজা রাখার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট।
৯. শাওয়াল মাসের রোজা রাখার জন্য তারাবিহ নামাজ পড়তে হবে কি?
‘না’, শাওয়াল মাসের ৬ রোজার জন্য তারাবিহ নামাজ পড়তে হবে না। রমজান মাসের রোজা রাখার সময় রাতে যেভাবে তারাবিহ আদায় করা হয়, সেভাবে শাওয়াল মাসের রোজার জন্য তারাবিহ পড়া লাগবে না।
শাওয়াল মাসের ফজিলত ও গুরুত্ব
শুধুই কি সওয়াব আর কল্যাণেই সীমাবদ্ধ শাওয়াল মাস ও ৬ রোজা? না, এ শাওয়াল মাস ও ৬ রোজা শুধু সাওয়াব, কল্যাণে সীমাবদ্ধ নয়। বরং পুরো বছরই রোজার আমেজ নিয়েই জীবন কাটানোর বিশেষ সুবিধা দেয়। শাওয়াল মাসে ৬ রোজা রাখার ব্যাপারে এমনই ঘোষণা দিয়েছেন স্বয়ং বিশ্বনবি। হাদিসে এসেছে-
হজরত আবু আইয়ুব আনসারি রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি রমজান মাসের রোজা রাখলো এবং শাওয়াল মাসে ৬টি রোজা রাখলো, এটি (শাওয়ালের ৬ রোজা) তার জন্য সারা বছর রোজা রাখার সমতুল্য।’ (মুসলিম)
১. গরিবের মুখে হাসি ফোটানোর মাসও শাওয়াল!
এ মাসটি গরিবের মুখে হাসি ফোটানোর মাস। ইসলামের অন্যতম প্রধান দুইটি বিনোদনের একটি এ মাসের প্রথম দিন উদযাপিত হয়। সামর্থ্যবান মুসলিমরা এ মাসের প্রথম দিন গরিব-দুঃখী মানুষকে নিজেদের সঙ্গে ঈদ আনন্দে শরিক করতে অকাতরে দান করেন। ঈদগাহে এক কাতারে নামাজ পড়েন। কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে এক কাতারে দাঁড়ানোর মাধ্যমেই সাম্যের বাণী ঘোষণা করে ইসলাম। তা বাস্তবে প্রমাণ করার দিনটি এ মাসেই নির্ধারিত। গরিব-অসহায় মানুষ এ শাওয়ালে হাসিমুখে ধনীদের সঙ্গে ঈদ আনন্দ উদযাপন করে। যা বছরের অন্য দিন ও মাসের তুলনায় পুরোপুরি ভিন্ন।
২. নিশ্চিত দোয়া ও ইবাদত কবুলের মাস শাওয়াল!
শাওয়াল মাসের ৬ রোজা শুধু বছরজুড়ে রোজা পালনের আমেজ ও সাওয়াব পাওয়ার মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। বরং যে সময় থেকে শাওয়াল মাস শুরু হয়। সে সময়টি রোজাদার বান্দার জন্য বিশেষ মূল্যবান।
ঈদের আগের রাত তথা চাঁদ রাত বলতে শাওয়ালের প্রথম রাতকেই বুঝানো হয়। এ রাতের ইবাদতকারীর জন্য আল্লাহ তাআলা জান্নাত ওয়াজিব করে দেন। বান্দা আল্লাহর কাছে যা চান তা-ই পান। কেননা এ রাতের কোনো প্রার্থনাকারীকে আল্লাহ তাআলা ফেরত দেন না। হাদিসের একাধিক বর্ণনায় তা ওঠে এসেছে-
হজরত আবদুল্লাহ ইবনে ওমর রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, যে ব্যক্তি জুমআর রাত, রজব মাসের প্রথম রাত, অর্ধ শাবানের রাত এবং দুই ঈদের রাতসহ (শাওয়ালের প্রথম রাত এবং ১০ জিলহজের রাত) এ পাঁচ রাতে কোনো দোয়া করে; সে রাতে তার কোনো আবেদনই ফিরিয়ে দেওয়া হয় না।’ (মুসান্নাফে আবদুর রাজ্জাক)
৩. নিশ্চিত জান্নাত পাওয়ার মাস শাওয়াল!
হজরত মুয়াজ ইবনে জাবাল রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, যে ব্যক্তি পাঁচটি রাত (ইবাদতের মাধ্যমে) জাগ্রত থাকবে তার জন্য জান্নাত ওয়াজিব হয়ে যাবে। তাহলো-
১. জিলহজ মাসের ৮ তারিখের রাত৷
২. জিলহজ মাসের ৯ তারিখের রাত (আরাফার রাত)
৩. ঈদুল আজহার রাত।
৪. শাওয়াল মাসের প্রথম রাত তথা ঈদুল ফিতরের রাত এবং
৫. অর্ধ শাবানের রাত।’ (আত তারগিব ওয়াত তারহিব)
৪. আল্লাহর শ্রেষ্ঠত্ব ঘোষণার মাস শাওয়াল!
হজের মাসের আগে এ শাওয়াল মাসেই আল্লাহ তাআলার তাকবিরের সূচনা হয়। আর তা শুরু হয় শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখার পর। যদিও তা ঈদের নামাজ পড়ার আগ পর্যন্ত পড়তে হয়। কিন্তু আল্লাহর শ্রেষ্ঠত্ব ঘোষণা শুরু হয় এ শাওয়াল মাসের প্রথম প্রহরে। এ দিক থেকেও শাওয়াল মাসের গুরুত্ব ও মর্যাদা স্বীকৃত। তাকবির হলো-
اَللهُ اَكْبَر اَللهُ اَكْبَر لَا اِلَهَ اِلَّا اللهُ وَاللهُ اَكْبَر اَللهُ اَكْبَروَلِلهِ الْحَمْد
উচ্চারণ : ‘আল্লাহু আকবর, আল্লাহু আকবার, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াল্লাহু আকবার আল্লাহু আকবর ওয়া লিল্লাহিল হামদ।’
৫. পরিপূর্ণ বরকত ও কল্যাণের মাস শাওয়াল!
শাওয়াল শব্দের মধ্যেও এ মাসের মাহাত্ম্য লুকায়িত আছে। শাওয়াল অর্থই হচ্ছে- প্রসারিত করা, পূর্ণতা দান করা কিংবা উন্নতকরণ। মূল কথা হলো- মহান রাব্বুল আলামিন বান্দার আবেদন-নিবেদনে চাওয়ার হাতকে বরকত ও কল্যাণে ভরপুর করে দেন। আমল-ইবাদত ও রোজা পালনে নিজের আমলকে সমৃদ্ধ ও উন্নত করে নেন মুমিন। ফলে এ মাসে খুব সহজেই মহান রবের সন্তুষ্টি পেয়ে যায় মুমিন।
আল্লাহ তাআলা সবাইকে বছরজুড়ে রোজা রাখার সওয়াব ও ভরপুর কল্যাণ পাওয়ার জন্য শাওয়ালের ৬ রোজা রাখার তাওফিক দান করুন। শাওয়াল মাসের আমলগুলো যথাযথভাবে পালন করার তাওফিক দান করুন। আমিন।