logo

শিরোনাম

মুন্সীগঞ্জে সাংবাদিককে হুমকি দেয়ার ঘটনায় ১জন গ্রেফতার

নিউজ সেভেন্টি ওয়ান ডট টিভি ডেস্ক
প্রতিবেদন প্রকাশ: ১১ মে, ২০২৫ | সময়ঃ ১২:০০
photo
মুন্সীগঞ্জে সাংবাদিককে হুমকি দেয়ার ঘটনায় ১জন গ্রেফতার

নিজস্ব প্রতিনিধি : মুন্সিগঞ্জ লঞ্চঘাটে গত ৯মে শুক্রবার রাতে যাত্রাবিরতির জন্য থামা একটি লঞ্চে দুই তরুণীকে প্রকাশ্যে মারধরের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় শনিবার দুপুরে নেহাল আহমেদ ওরফে জিহাদ নামের এক তরুণকে আটক করেছে পুলিশ। আটক নেহাল আহমেদ মুন্সিগঞ্জ সদর উপজেলার দক্ষিণ ইসলামপুর এলাকার বাসিন্দা। পুলিশ বলছে, এমভি ক্যাপ্টেন নামের লঞ্চে মারধরের শিড়কার ওই দুই তরুণীর বয়স ১৯-২০ বছর হবে।


ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যায়, দুই তরুণীকে লঞ্চের একেবারে সামনের অংশে বেল্ট দিয়ে পেটাচ্ছেন এক তরুণ। এ সময় স্থানীয় লোকজন সেই দৃশ্য মুঠোফোনে ধারণ করে উল্লাস করছিলেন ও বিভিন্ন স্লোগান দিচ্ছিলেন।

 

শুক্রবার ৯ই মে রাতে মুন্সিগঞ্জ লঞ্চঘাটে দুই তরুণীকে মারধরের ঘটনা ও অভিযুক্তকে আটকের ঘটনায়  অনলাইন পোর্টালে সংবাদ প্রকাশ করায়।  
গতকাল ১০ মে শনিবার বিকেল পৌনে চারটার দিকে মারুফ মোল্লা নামের যুবক তিন থেকে চারটি মোটরসাইকেলে করে এসে মুন্সিগঞ্জ প্রেস ক্লাবে ডুকে দৈনিক বাংলার মুন্সিগঞ্জ প্রতিনিধি এবং স্থানীয় একটি অনলাইন পোর্টালের প্রকাশক ও সম্পাদক শিহাব আহমেদ কে দেখে নেয়ার হুমকি দেয় ও উপস্থিত  বেশ কয়েকজন সাংবাদিককে নিউজ কীভাবে করতে হবে, সেটাও বলে যান। ’
মুন্সিগঞ্জ প্রেসক্লাবের উপস্থিত কয়েকজন সংবাদকর্মী আক্ষেপ করে বলেন, ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের সময়ে তাঁরা সংবাদ পরিবেশন করেছেন। ওই সময়ও ছাত্রলীগ বা যুবলীগের কেউ প্রেসক্লাবে এসে হুমকি দেওয়ার সাহস পাননি। ক্লাবে এসে হুমকি দেওয়ার বিষয়টি সাংবাদিকদের জন্য অত্যন্ত লজ্জার এবং দুঃখের।

 

মুন্সিগঞ্জ প্রেসক্লাবের মিলনায়তনে ঢুকে  সাংবাদিককে প্রকাশ্যে হুমকি দুঃখজনক  মুন্সিগঞ্জ জেলা অনলাইন প্রেস ক্লাবের পক্ষ থেকে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই ও এ ঘটনার সাথে জড়িতদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার  দাবিও জানাই । 


এদিকে এই ঘটনায় মুন্সিগঞ্জ প্রেস ক্লাবে ডুকে দৈনিক বাংলার মুন্সিগঞ্জ প্রতিনিধি এবং স্থানীয় একটি অনলাইন পোর্টালের প্রকাশক ও সম্পাদক শিহাব আহমেদ কে হুমকি দেয় মারুফ মোল্লা  নামেরঐ যুবকে আটক করেছে সেনাবাহিনী  । 


সে মুন্সিগঞ্জ পৌরসভার নয়াকান্দি এলাকার ওমর ফারুক (মিন্টুর) ছেলে। এ সময় মারুফের সঙ্গে আরও চার-পাঁচজন যুবক ছিল।


অভিযোগের বিষয়ে মারুফ মোল্লা বলেন, ‘শিহাব আহমেদ আমার ছোট বোনের স্বামী। তার সঙ্গে আমার একটি পারিবারিক সম্পর্ক রয়েছে। তার অনলাইন পোর্টালে লঞ্চের তরুণীকে মারধরের ঘটনায় যে সংবাদ প্রকাশ করেছিল, সেখানে কিছু সংশোধনী ছিল। কিছু সত্য তথ্য বাদ পড়েছিল। আত্মীয়তার সম্পর্কের খাতিরে আমি ওর (শিহাব আহমেদ) সঙ্গে সে বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে গিয়েছিলাম। কোনো ধরনের হুমকি তো দূরের কথা, ওর সঙ্গে আমার কোনো মনোমালিন্য হয়নি।’

 


এ বিষয়ে মুন্সিগঞ্জ পুলিশ সুপার মুহাম্মদ শামসুল আলম সরকার বলেন, সংবাদ প্রকাশের জেরে হুমকি দেয়ার ঘটনা অত্যন্ত ন্যক্কারজনক। অভিযুক্তকে দ্রুত আইনের আওতায় আনতে পুলিশ কাজ করছে।

 

 

  • নিউজ ভিউ 1827