logo

শিরোনাম

শহীদ জিয়ার আদর্শের সৈনিক হিসেবে থাকতে চাই আজীবন মুন্সিগঞ্জ জেলা ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শফিকুল হাসান তুষার

নিউজ সেভেন্টি ওয়ান ডট টিভি ডেস্ক
প্রতিবেদন প্রকাশ: ০৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ | সময়ঃ ১২:০০
photo
শহীদ জিয়ার আদর্শের সৈনিক হিসেবে থাকতে চাই আজীবন মুন্সিগঞ্জ জেলা ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শফিকুল হাসান তুষার

নিজিস্ব প্রতিনিধি : শফিকুল হাসান তুষার বয়স ৪১ পিতা মৃত শামসুল হক মাদবর গ্রাম উত্তর ইসলামপুর।  

ছাত্র জীবন থেকে খেলাধুলার সাথেই বড় হওয়া।    স্কুল জীবনে লেখাপড়ার পাশাপশি দৌড়  প্রতিযোগিতায় বরাবর প্রথম স্থান অধিকার করা সহ জেলার পক্ষ থেকে ন্যশনালে ব্যটমিন্টন,কাবাডি, ফুটবল ও ক্রিকেটেও পারদর্শি ছিলেন তুষার।

ছোটবেলা থেকেই বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের সাথে জরিত ছিলেন তিনি। সিটি ক্লাব থেকে শুরু হয় পথচলা  পরবর্তীতে মুন্সীগন্জ রেড ক্রিসেন্ট,  বন্ধু মহল সমিতি,, সার্কেল এইটটি ওয়ানস,অগ্রণী সংঘ, সেভিংস ফর ইউনিটি,নবযোয়ার সংঘ, গ্রামের মসজিদ ও মাদ্রাসা কমিটিসহ বিভিন্ন সামাজিক কর্মকান্ডে জড়িত ছিলেন।   

পারিবারিকভাবে বিএনপির রাজনীতির সাথে জড়িত থাকায় ছাত্র জীবনে ১৯৯৮ সনে স্কুল ড্রেস পরেও  বিএনপি একজন সদস্য হিসেবে সকল আন্দোলন সংগ্রামে অংশগ্রহণ করে।  

পরবর্তীতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হলে   ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের  হল শাখা ছাত্রদলের জুয়েল মল্লিকের কমিটির একজন সদস্য হিসেবে রাজনৈতিক কর্মকান্ড পরিচালনা করে।

শফিকুল হাসান তুষার বলেন ছাত্রদল করার অপরাধে ২০০৮ সালে আওয়ামী ছাএলীগের লোকজন আমার পরিবারের ২ টি গাড়ি ভাঙচুরসহ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেয়া হয়  ।  

 ১৯৯৮ থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত চাচা নোয়াব আলী কমিশনার ও বড় ভাই পৌর বিএনপির দায়িত্বে থাকায় রাজনৈতিক সকল কর্মকান্ডে অংশগ্রহণ করি। 

 দলের নেতাকর্মীদের কাছে রাজনৈতিক কর্মকান্ডের সফলতা প্রমাণ করায় ২০১১ থেকে ২০১৮ পর্যন্ত শহর ছাত্রদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি হিসেবে সকল কর্মসুচিতে অংশগ্রহণ  করি। 

২০১০সন  থেকেই শুরু হয় সেচ্ছাচারী আওয়ামীলীগ ও পুলিশের  নির্যাতন, আমার বিরুদ্ধে দেয়া হয় একাধিক মামলা,আওয়ামী চাদাবাজদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করায় আমার বাড়ি ভাংচুর করে তৎকালীন অবৈধ এম পি মিনাল কান্তির নির্দেশে ওসি ইউনুচ আলী  আমার বাড়িতেই পুলিশী অভিযান পরিচালনা করে আমাকে গ্রেফতার করে রাতভর  শুরু হয়  ক্রসফায়ার নাটক।

 অর্থের বিনিময়ে ক্রসফায়ার থেকে বাঁচলেও পুলিশের রিমান্ডে নিয়ে দেয়া হয়  একাধিক প্যাথেডিন যার ফলে কিডনি ড্যামেজ হয়ে যায়। 

জায়গা জমি ও ব্যবসা প্রতিস্ঠান বিক্রি করে চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরলেও  মামলা হামলা থেকে রেহাই পেতে দিতে হয় পুলিশ ও আওয়ামী নেতাদের অর্থ ।   

দেশে যখন আওয়ামী লীগের সৈরশাসন চলছিল বিএনপির নেতাকর্মীদের উপর চলছিল নির্যাতন। 

 সেই  সময় মুন্সিগঞ্জ জেলা ছাত্রদল কে সু সংগঠিত করার লক্ষ্যে মুন্সিগঞ্জ জেলা বিএনপি'র সভাপতি জননেতা আব্দুল হাই ২০১৮ সালে মুন্সিগঞ্জ জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব  দেয়া হয়। 

সেই সময়ে মুন্সিগঞ্জ জেলা ছাত্রদল কে সুসংগঠিত করতে মুন্সিগঞ্জের  ৬ উপজেলা,২ টি পৌরসভা ও ৮টি কলেজ কমিটি গঠন করা সহ ফরম পুরনের মাধ্যমে প্রায় সারে চার হাজার সদস্য তালিকা ভুক্ত করি । 

২০১৮ সালের সংসদ নির্বাচনের আগেই আমি সহ আমার নিরঅপরাধ ২ ভাইকেও দেওয়া হয় একাধীক গায়েবী মামলা। 

বহুদিন পালিয়ে থাকলেও পরিবারের সদস্যদের বাড়িতে এসে অপমান করে যেতো এই সৈরাচারী আওয়ামী বাহিনী।

চাচা নোয়াব আলী পাঁচবারের পৌর  কমিশনার,বড় ভাই কামাল হোসেন পরপর দুইবারের কাউন্সিলর নির্বাচিত হওয়ায়  পৌরসভার ৭ নং ওয়ার্ডের সর্বস্তরের জনগণের সাথে ছিল আমার আত্মার সম্পর্ক। 

যার ফলে জনগণের দাবির মুখে স্বেচ্ছাচারী  আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে ২০২১ সালে পৌর নির্বাচনে  কাউন্সিলর পদে নির্বাচন করতে বাধ্য হই।

তখন বিএনপি ধানের শীষে নির্বাচন করে,এবং বিএনপির জনগনই আমাকে বহু কস্টের বিনিময়ে নির্বাচিত করেন।

অত্যন্ত দু:খের বিষয় নির্বাচিত হওয়ার ২০ দিনের মধ্যেই উত্তর ইসলামপুরে অতর্কিত ত্রিপল মার্ডারে নিহত হন আওয়ামী লীগের ওয়ার্ড সহ-সভাপতি আমার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী সহ আরো দুইজন। 

সেই হত্যা মামলায় আমাকে জড়ানোর ষড়যন্ত্র শুরু হয়। আমি সহ আমার পরিবার হয়েপরি আতংকিত।

একদিকে মিথ্যা মামলা, হামলা অপর দিকে জনগনের রাস্তা ঘাট সহ বিভিন্ন চাহিদা পুরনের স্বার্থে হলেও চোখ বুজে ইচ্ছের বিরুদ্ধে অনেক কিছু মেনে নিতে হয় আমাকে। 

কাউন্সিলর পদে নির্বাচিত হওয়ার এই ৩ বছরে সকল অত্যাচার মুখ বুজে সহ্য করলেও এলাকার উন্নয়নতো দূরের কথা বরং সকল ক্ষেএে হতে হয়েছে বৈষম্যের শিকার । না পেরেছি জনগনের চাহিদা পুরন করতে, না পেরেছি নিজের পরিবারের কোনও উন্নতি করতে,,,।

হাজারও কস্ট সহ্য করে  বিএনপির বিভিন্ন প্রোগ্রামে নিজে অংশগ্রহণ  করি,, নিজে না পারলেও দলের কর্মীদের উৎসাহ  ও সহযোগিতা করে বিভিন্ন প্রোগ্রামে অংশগ্রহণ করাই। 

 

পৌর পরিষদ থেকে আমাকে দেয়া হয়নি কোন বরাদ্দ বরং বাপের জমি জমা বিক্রি করে হলেও চেস্টা করেছি বিএনপির কর্মিদের দূরদিনে পাশে থাকতে এবং কাউন্সিলর হিসাবে আমার উপর জনগনের হক আদায়  করতে।

অবশেষে  ছাত্র জনতার আন্দোলনে উত্তর ইসলামপুর গ্রামের ৩ জন নিহত সহ ২৪/২৫ জন গুলিবিদ্ধ হওয়া এবং আন্দোলনে নিজে শ্বশরীরে অংশগ্রহণ  করার অপরাধে আমাকে ধরার জন্য ৪ তারিখ সন্ধা থেকে রাত ৩ টা পযর্ন্ত চলে তিন দফায় পুলিশ ও ডিবির অভিযান আমার অফিস ভাংচুরসহ বাড়িতে চলে পুলিশি অভিযান সারারাত কাটাতে হয় জংগলে।
 অবশেষে ৫ ই আগস্ট  আওয়ামী লীগের স্বৈরশাসনের  অবসান ঘটার পর যেন মনে হয়েছে স্বাধীন একটি রাষ্ট্র দেখতে পেয়েছি। শৃংখল মুক্ত একটি জীবন পেয়েছি 

 আমি একটা কথাই বলবো বিএনপি'র সুসময় দুঃসময়ে  আমাদের পরিবার বিএনপির রাজনীতি সহ জনপ্রতিনিধি হিসেবে কাজ করে গেছে।  যতদিন বেঁচে আছি থেকে কাজ করে যাব। 

তবে এখন  অনেকেই ঈর্ষান্বিত হয়ে আমার বিরুদ্ধে পুর্বের ন্যয় একটি মহল ষরযন্ত শুরু করেছে যাহা দুঃখজনক। আমি কাউন্সিলর থাকি বা না থাকি,,,বিএনপি থেকে পদ পাই বা না পাই একজন সাধারন সদস্য হিসেবে হলেও মৃত্যুর আগ পর্যন্ত বিএনপি পরিবারের পাশেই আছি এবং থাকবো

  • নিউজ ভিউ 2007