logo

শিরোনাম

সাবেক নারী ব্যাংক কর্মকর্তার উপর আকস্মিক হামলা

নিউজ সেভেন্টি ওয়ান ডট টিভি ডেস্ক
প্রতিবেদন প্রকাশ: ০৬ জানুয়ারী, ২০২৩ | সময়ঃ ১২:০০
photo
প্রতিকী ছবি

নিজস্ব প্রতিবেদক: মুন্সিগঞ্জ জেলার টঙ্গীবাড়ী থানার, বেতকা ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা মরহুম মোশারফ হোসেনের মেয়ে ফারজানা সুলতানা ও তার পরিবারের সদস্যদের উপর আকস্মিক হামলা হয়েছে।

 

 


গত ৫ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার বিকেলে এই ঘটনা ঘটে।  

 

 

ঘটনা সূত্র এবং প্রত্যক্ষদর্শী থেকে জানা যায়, হঠাৎ করে তাঁর নিজ বাড়িতে আট দশ জন লোক ৪টা মোটরসাইকেল দিয়ে আসে। বাড়ির উঠানে মোটরসাইকেল থামিয়ে বাকবিতণ্ডা শুরু করে ফারজানা সুলতানা ও তার পরিবারের সাথে। তখন আকস্মিক ভাবে তারা জোর পূর্বক ফারজানা সুলতানা কে চাক্ষুস অপহরণের চেষ্টা চালায়।  

 

 

গণমাধ্যমে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, সে সময় বাড়িতে উপস্থিত ছিলেন ফারজানা সুলতানার স্বামী রাশেদুজ্জামান অপু, তার ভাই , মা, চাচাতো ভাই ও তার দুই চাচী গালাগালি শুনে তারা ঘর থেকে বের হলে আঁট দশ জন লোক হঠাৎ করে হাতে থাকা লাঠি ও ধারাল অস্ত্র দিয়ে দিক-বেদিক আক্রমণ করে।  

 

 

হাতাহাতির একপর্যায়ে চিৎকার চেঁচামেচি শুনে আশেপাশের লোকজন জড়ো হলে তৎক্ষনাৎ তারা পালিয়ে যায়।

ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যদের সাথে কথা বলে জানা যায়, আক্রমণের শিকার নারী একজন সাবেক ব্যাংক কর্মকর্তা, যিনি মেঘনা ব্যাংক লিমিটেডের মতিঝিল শাখায় ডেপুটি ম্যানেজার হিসেবে কর্মরত ছিলেন।  

 

 

প্রত্যক্ষদর্শীদের জবানবন্দি অনুসারে, ঘটনাস্থল থেকে আহত অবস্থায় ফারজানা সুলতানা, তার স্বামী রাশেদুজ্জামান অপু ও পরিবারের অন্যান্য সদস্যদেরকে গুরুতর অবস্থায় মুন্সিগঞ্জ সদর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। 

 

 

মুন্সিগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসক ডঃ রণজিৎ দাস এর সাথে মুঠোফোনে কথা বলে জানা যায় যে, ভুক্তভোগী ফারজানা সুলতানা বাম হাতে এবং পিঠে আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছেন।

 

 

চিকিৎসক ডঃ রণজিৎ দাস জানান,  তার স্বামীর নাক ফেটে যায় এবং শরীরের লাঠির আঘাতে বিভিন্ন স্থানে আঘাত পায়। তার ভাইয়ের মাথা লাঠির আঘাতে গুরুতর জখম হয় এবং ধারাল অস্রের আঘাতে তার এক চাচাতো ভাইয়ের হাত গুরুতর ভাবে কেটে যায়। 

 

 


ভুক্তভোগী পরিবারের সাথে কথা বলে জানা যায়, পূর্ববর্তী শত্রুতার জের ধরে এবং পারিবারিক রাজনৈতিক সম্পৃক্ততার কারণে প্রাণনাশের উদ্দেশ্য এই হামলা চালানো হয়েছে। 

 

 

ফারজানা সুলতানের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করলে তার মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া যায়। তিনি তার স্বামী ও সন্তান নিয়ে তার নিজ গ্রামের বাড়ি থেকে প্রাণ নাশের ভয়ে পলাতক আছেন।

 

 

এ ব্যাপারে টঙ্গীবাড়ি থানার ওসি (ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা) ''মোঃ রাজীব হোসেন" জানান, ইতোমধ্যে আমরা এমন ঘটনা শুনেছি। এ ব্যাপারে কেউ মামলা দায়ের করতে এলে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

  • নিউজ ভিউ 1980