logo

শিরোনাম

মুন্সিগঞ্জে দুই 'পক্ষের সংঘর্ষে নিহত ৫,আহত ১২

নিউজ সেভেন্টি ওয়ান ডট টিভি ডেস্ক
প্রতিবেদন প্রকাশ: ০৩ আগস্ট, ২০২৪ | সময়ঃ ১২:০০
photo
ছবিঃ প্রতিনিধি।

মুন্সিগঞ্জ প্রতিনিদিঃ মুন্সিগঞ্জে দুই 'পক্ষের সংঘর্ষে নিহত ৫,আহত ১২ পূর্ব শত্রুতা ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে প্রাণ গেল ৫ জনের,আরো আহত হয়েছেন নারিসহ ১২জন।  


মুন্সিগঞ্জ সদরের মোল্লাকান্দী ইউনিয়নের চরডুমুরিয়া বাজারে এ ঘটনা ঘটে।

photo

 নিহতরা হলেন সালাম বেপারির ছেলে সাকিল(২৫),আবুল মুন্সি(৩০),তোফাজ্জল মুন্সি(৪০),রাব্বি খান(১৯)ও তানজিল মাদবর(২৭)। তারা সবাই চরডুমুরিয়া ও কংসুপুরা গ্রামের বাসিন্দা। 


এই ঘটনায় ১১ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ঘটনার পর থেকে এলাকায় চরম উওেজনা বিরাজ করছে।  মুন্সিগঞ্জ থানা পুলিশ ও এলাকা বাসীর সূত্রে জানা যায়,গতকাল রিপন পাটোয়ারি চেয়ারম্যানের সমর্থকরা কোর্টে হাজিরা দিতে যাবার সময় আগে থেকে ওত পেতে থাকা সাবেক চেয়ারম্যান কল্পনা আক্তারের সন্ত্রাসীরা হঠাৎ করে তাদের উপর আক্রমণ করে। রিপন চেয়ারম্যানের লোকজন কিছু বোজে ওঠার আগেই তারা এলোপাতারি গুলি ও রামদা দিয়ে কুপিয়ে জখম করতে থাকে। এতে করে দুই-পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বেধে যায় এবং ঘটনাস্থলেই রিপন সমর্থিত রাব্বি খান ও কল্পনা সমর্থিত আবুল মুন্সি নিহত হন।এবং আরো ১৫ জন গুরুতর আহত হয়। 

স্থানীয়রা আহতদেরকে উদ্ধার করে মুন্সিগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান।আহতদের মধ্যে সাকিল(২৫),তোফাজ্জল মুন্সি (৪০) ও তানজিল মাদবর(২৭) এর অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাদেরকে ঢাকা মেডিকেল কলেজে স্থানান্তর করা হলে যাবার পথে সাইনবোর্ডে তানজিল ও সাকিল মারা যায়।পরে চিকিৎসাদিন অবস্থায় তোফাজ্জল মুন্সির ও মৃত্যু হয়।আহতদের সবাই মুন্সিগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা দিন রয়েছে।

এই ঘটনায় নিহতদের স্বজনরা ২৭ জনের নাম উল্লেখ করে শুক্রবার রাতে মুন্সিগঞ্জ থানায় মামলা করেন।মামলার আসামি কাশেমের ছেলে রাকিব(২২), বাবুল( ৪৫),মাসুদ(১৮)ও সন্দেহভাজন আরো ৮ জনকে আটক করেছে পুলিশ।বাকি আসামিরা আত্ম গোপনে রয়েছেন পুলিশ তাদের ধরার জন্য চেষ্টা চালাচ্ছে।

এদিকে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ গুলিকে ডোমঘরে পাঠানো হয়েছে। মুন্সিগঞ্জ থানার ওসি জানান, মুন্সিগঞ্জ সদরের মোল্লাকান্দি ইউনিয়নে দীর্ঘদিন ধরে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ও পূর্ব শত্রুতারজের ধরে প্রায়ই দুই-পক্ষের মধ্যে  বিরোধ, মারামারি লেগেই থাকে। দুই দলের লোকজনরাই তাদের আধিপত্য বিস্তারের প্রচেষ্টা চালায়। মোহরা দেয়, মিছিল মিটিং ও নাশকতার চেষ্টা করে। প্রায় সময় মারামারি - ঝগড়াঝাটি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়।পরবর্তিতে পুলিশ এলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন হয়। 

আমরা মনে করি তারি ধারাবাহিকতায় এই সংঘর্ষ। এই ঘটনায় ২৭ জনের নামে মামলা হয়েছে। আমরা ১১ আসামিকে গ্রেপ্তার করেছি।বাকিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে। সহকারি পুলিশ সুপার(মুন্সিগঞ্জ সার্কেল) থান্দার খাইরুল ইসলাম বলেন, ঘটনাটি জানার পরপরই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি । বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার জন্য অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে তদন্ত সাপেক্ষে  ব্যবস্থা নেওয়া হবে।  

  • নিউজ ভিউ 639