টঙ্গিাবড়ী প্রতিনিধি: আলু চাষীকে আলু চাষের জন্য জমি বর্গা দিয়ে এখন বিপাকে পড়েছেন জমির মালিক নিজেই, বর্গার টাকা চাওয়ায় জমির মালিকেই বানিয়ে দেয়া হয়েছে চাঁদাবাজ। মামলা করেও মিলছে কোন সমাধান। এমন ঘটনা ঘটেছে মুন্সীগঞ্জ টঙ্গিবাড়ী উপজেলার হাসাইল-বানারী ইউনিয়নের বিদগাঁও মৌজার সামসুল আকনের সাথে।
ভুক্তভোগী সামসুল আকনের অভিযোগ,
১৯৫৩ সনে জমিদার হেম চরন কাছ থেকে আমার পূর্বপুরুষরা বিদগাঁও মৌজার চরাঞ্চলে তিন দাগে মোট ৬৬ একর জমি ক্রয় করেন। যার সিএস, এসএ সহ সকল প্রকার আইনগত বৈধ দলিল তার পরিবারের রয়েছে। বিষয়টি স্থানীয় গ্রামবাসী সকলেরই জানা। এতো বিশাল পরিমান জমি আমার একার পক্ষে চাষাবাদ করা সম্ভব না হওয়ায় স্থানীয় চাষীরা বিভিন্নভাবে আমার কাছে মৌখিকভাবে বলে চাষ করে। এভাবে গত তিন মাস পূর্বে ২২ ডিসেম্বর সন্তুোষ মন্ডল গংরা স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যাক্তিদের উপস্থিতিতে আলু চাষের জন্য আমাদের জমি বর্গা নেয়। পরবর্তীতে বর্গা চাষের অর্থ চাইলে জমির বর্গার টাকা প্রদান না করে গরিমসি শুরু করে। এর মধ্যে গেলো শুক্রবার ( ৭ মার্চ) জমির আলু তুলে নিয়েছে সন্তুোষ মন্ডল গংরা। পরবর্তিতে আমি সন্তুোষ মন্ডলকে আলু তুলতে নিষেধ করায় সে আমাকে সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজ বলে বিভিন্নভাবে অপপ্রচার চালাচ্ছে ।
এর পূর্বে আমার ক্রয়কৃত সম্পতি দখল মুক্ত করার জন্য মুন্সীগঞ্জ জেলার এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ফৌ: কা: বি: ১০৭/১১৭ ধারায় বিদগাঁও গ্রামের টঙ্গিবাড়ী উপজেলার গারুগাঁও গ্রামের মৃত মদন মন্ডলের ছেলে সন্তুোষ মন্ডল ও একই গ্রামের মৃত শাহজাহান ঢালীর ছেলে হাছান ঢালীকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করি । আসছে ১০ মার্চ আদালতে মামলার শুনানির তারিখ থাকার পরেও আসামিরা জোরপূর্বক জমির আলু উত্তোলন করে নিয়ে যাচ্ছে ।
মো. সামসুল আকন নিউজ সেভেন্টি ওয়ান ডট টিভিকে আরো জানায়, আমাদের জমির বর্গার টাকা আমাকে না দিয়ে সন্তুোষ মন্ডল গংরা
আরিফ হালদারকে দিয়েছে।
জমির সকল বৈধ
কাগজপত্র নিয়ে আমি বিষয়টি স্থানীয় চেয়ারম্যান নুরুজ্জামান দেওয়ানকে একধিকবার জানাই। এর পরেও তার নিকট কোন সহযোগিতা পাই না। বর্তমানে স্থানীয় প্রশাসন সহ জনপ্রিতিনিধিদের কাছে আমার দাবী আমার বিরুদ্ধে সকল অপপ্রচার বন্ধ করে আমার পূর্বপুরুষের বৈধ সম্পত্তি আমার পরিবারকে যথাযথ আইনানুগ প্রক্রিয়ায় ভোগ দখলের ব্যবস্থা করে দিবেন।