logo

শিরোনাম

সাংবাদিকের উপর হামলাকারী ইউপি চেয়ারম্যান মিঠু বরখাস্ত

নিউজ সেভেন্টি ওয়ান ডট টিভি ডেস্ক
প্রতিবেদন প্রকাশ: ১৬ মে, ২০২৪ | সময়ঃ ১২:০০
photo
সাংবাদিকের উপর হামলাকারী ইউপি চেয়ারম্যান মিঠু বরখাস্ত

মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি
   
মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় সাংবাদিক ও পুলিশের উপর হামলাকারী  ইউপি চেয়ারম্যানকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়।  

গজারিয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোটকেন্দ্র দখল, ব্যালট ছিনতাই, সাংবাদিক ও পুলিশ ওপর হামলা, গাড়ি ভাঙচুর করে নির্বাচনী কাজে হস্তক্ষেপের অভিযোগে হোসেন্দি ইউপি চেয়ারম্যান মনিরুল হক মিঠুকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়।
 
বৃহস্পতিবার (১৬ মে) দুপুরে বরখাস্তের বিষয়টি নিশ্চিত করছেন মুন্সিগঞ্জ স্থানীয় সরকারের উপ-পরিচালক মো. জুবায়ের।


তিনি জানান, গত বুধবার স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের ইউপি শাখা-১ এ সংক্রান্ত আদেশ জারি করে।

তিনি আরও জানান, নির্বাচনী কাজে হস্তক্ষেপ করার অভিযোগে পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকারের আদেশে মনিরুল হককে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

গত ৮ মে প্রথম ধাপে অনুষ্ঠিত উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। সে নির্বাচনে হোসেন্দি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মনিরুল হক, তার ভাই গাজীপুর আঞ্চলিক মসলা গবেষণা কেন্দ্রের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ইকবাল হক ও ভাতিজা তানভীর হকরা ওই ইউনিয়নের ভবানীপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রে প্রভাব বিস্তার করতে কেন্দ্রের বাইরে জড়ো হচ্ছিলেন। ভোটকেন্দ্রের দায়িত্বে থাকা পুলিশ সদস্য সোহেল রানা সবাইকে সরে যেতে বলেন। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে চেয়ারম্যান মনিরুল হকের নির্দেশে সোহেলকে মারধর শুরু করেন তার ভাতিজা তানভীর এবং তাদের লোকজন।

ওই ঘটনার সময় পাশ থেকে ছবি ও ভিডিও করছিলেন সাংবাদিক গোলজার হোসেন। পরে তারা গোলজারের ওপর হামলা করেন। তার মুঠোফোন ছিনিয়ে নেয়। পরে অন্য সাংবাদিকেরা এসে তাকে উদ্ধার করেন।  সেখানে তাদের মারধরের জন্য তেড়ে আসেন মনিরুল হক, তার ভাই ইকবাল হকসহ তাদের লোকজন। সাংবাদিকদের হত্যা ও হাত-পা কেটে ফেলার হুমকি দেন তারা।

একই দিন হোসেন্দি বহুমুখী উচ্চবিদ্যালয় কেন্দ্রে দখল, ব্যালট পেপার ছিনিয়ে নিয়ে সিল মারেন মনিরুল হকের লোকজন।  এতে পুলিশের দুই সদস্যকে পিটিয়ে মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয়। সেই সঙ্গে পুলিশের গাড়িও ভাঙচুর করে তারা। এ ঘটনার পরদিন বৃহস্পতিবার পুলিশ এবং সাংবাদিক গোলজার হোসেন আলাদাভাবে বাদী হয়ে চেয়ারম্যান মনিরুল হককে প্রধান আসামি করে দুটি মামলা করে। এ দুটি মামলা ২১৮ জনকে আসামি করা হয়।

গত শনিবার (১১ মে) রাত ৯টার দিকে ঢাকার শাহজাহানপুরের একটি বাড়ি থেকে মনিরুল হককে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরদিন রোববার দুপুরে তাকে আদালতে হাজির করে সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মহিদুল ইসলাম। পরে শুনানি শেষে এক দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন গজারিয়ার আমলী আদালতের বিচারক সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রহিমা আক্তার।

এদিকে পুলিশ ও সাংবাদিকের দুই মামলায় শুধু ইউপি চেয়ারম্যান মনিরুল হককে গ্রেফতার হয়েছে। ঘটনার এক সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও অন্য আসামিদের গ্রেফতার করতে না পারায় এবং ইকবাল হককে আইনের আওতায় না আনায় আক্ষেপ প্রকাশ করেছেন মুন্সিগঞ্জের সংবাদকর্মীরা।

এ বিষয়ে মুন্সিগঞ্জ পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আসলাম খান বলেন, পুলিশ-সাংবাদিকের উপর হামলার ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেফতারে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে।

  • নিউজ ভিউ 2448