সিরাজদিখান(মুন্সীগঞ্জ)প্রতিনিধি:
মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখানে বাড়ির সীমানা সংক্রান্ত বিরোধকে কেন্দ্র করে এক বৃদ্ধের ওপর সন্ত্রাসী হামলার বিচার দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ভুক্তভোগীর ছেলে মো. হোসেন মিয়া।
মঙ্গলবার (১৭ জুন) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার বয়রাগাদী ইউনিয়নের উত্তর
গোবরদী গ্রামে নিজ বাড়িতে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন।
সংবাদ সম্মেলনে মো. হোসেন মিয়া অভিযোগ করে বলেন, আমরা প্রায় ৫০ বছর ধরে ওই জায়গায় পানের বরজ করে আসছি। সাবেক চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর সাহেবের কাছ থেকে জায়গাটি কিনে বৈধভাবে ব্যবহার করছি। সেই পানের বরজ লাগোয়া জায়গা নিয়ে
সামান্য সীমানা বিরোধের জেরে আমাদের ওপর এমন জঘন্যতম ঘটনা ঘটানো হয়েছে।
তিনি জানান, গত ১১ জুন সকাল সাড়ে ৮টার দিকে তার বাবা মো. তারা মিয়া শেখ(৭৩) পানের বরজে কাজ করার সময় পূর্বপরিকল্পিতভাবে বয়রাগাদী ইউনিয়নের সাবেক সংরক্ষিত নারী সদস্য মোছা. সাবিনা আক্তার, মো. আল আমিন, মো. হালিম,
হাছিনা বেগম ও মোছা. শাহানুর বেগম দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে হামলা চালান।
আরো জানান মো. হালিম চাপাতি দিয়ে তার বাবার কপালে কোপ মারেন, এতে তিনি রক্তাক্ত জখম হন। মো. আল আমিন সাবল দিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করেন, যার ফলে পাঁজরের দুটি হাড় ভেঙে যায়।
এছাড়া, মোছা. সাবিনা আক্তার শ্বাসরোধ করে হত্যার চেষ্টা করেন এবং হাছিনা বেগম কাঠের ডাসা দিয়ে এলোপাতাড়ি মারধর করেন। এ সময় তার বাবার পকেটে থাকা টাকা ছিনিয়ে নেওয়া হয় এবং বরজে ভাঙচুর চালিয়ে প্রায় ১৫ হাজার টাকার ক্ষতি
করা হয়।স্থানীয়দের সহায়তায় গুরুতর আহত মো. তারা মিয়াকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়। বর্তমানে তিনি সেখানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
সংবাদ সম্মেলনে হোসেন মিয়া আরও অভিযোগ করেন, বয়রাগাদী ইউনিয়নের সাবেক সংরক্ষিত নারী সদস্য সাবিনা আক্তার বিগত ১৬ বছর ধরে ক্ষমতাসীন দলের পরিচয় ব্যবহার করে এলাকায় নানাভাবে মানুষকে অত্যাচার করে আসছেন। আজও তার সেই
দৌরাত্ম্য থামেনি।
তিনি হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও তাদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।