logo

শিরোনাম

মুন্সিগঞ্জে কলা চাষে লাভবান কলেজ শিক্ষক

নিউজ সেভেন্টি ওয়ান ডট টিভি ডেস্ক
প্রতিবেদন প্রকাশ: ১৬ নভেম্বর, ২০২২ | সময়ঃ ১২:০০
photo
সংবাদদাতা

এসডি সাকিব:

       তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি শিক্ষক হয়েও কৃষি কাজে আগ্রহ,হয়েছেন কলা চাষে লাভবান। বলছি,মুন্সিগঞ্জের মিরকাদিম হাজী আমজাদ আলী ডিগ্রি কলেজের আইসিটি(তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি) প্রভাষক মোঃআসরাফ সরকারের কথা। পারিবারিকভাবে স্বচ্ছল হওয়া সত্বেও নিজের সুখ শান্তি আনন্দ উপভোগ বাদ দিয়ে হঠাৎ এলাকার মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করে বেকারত্ব দুর করতে নিজের অর্থ, সময়, মেধা, পরিশ্রম ও অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে কলা চাষে আগ্রহী হয়েছেন তিনি। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, আপাতত জমিতে তিনি একাই কাজ করেন,তার সাথে সহযোগিতা করেন বাবা এবং সহধর্মিণী। চাষাবাদ বাড়ালে শ্রমিক প্রয়োজন হবে। প্রতিবেদক, এসডি সাকিব কৃষি কাজের শুরুটা জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার বসত বাড়ি পঞ্চসার ইউনিয়নের রতনপুর গ্রামে। আসলে কৃষি আমার রক্তের সাথে মিশে আছে, এটা আমার বাপ, দাদা আর নানার পেশা। জমিতে গেলে আমি মাটির ঘ্রাণ পাই। যেহেতু কৃষি কাজ করেই পড়াশোনা করেছি তাই কৃষি ছাড়তে পারিনি। আমার বাড়ির একপাশে১৫ শতাংশ যায়গায় আমার বসত বাড়ি আর ৬০ শতাংশ যায়গায় কলা বাগান।কলা বাগান শুরু করি ২০২১ সালে তবে করোনা আসার সাথে সাথেই চাষাবাদ শুরু করি। তেমন বেশি পুজি লাগেনি জমি যেহেতু নিজেদের শুধু চারা। কিছু সার আর কিছু ছত্রাক নাশক কিনেছি সাথে কিছু বাশের খুটি কিনেছি শ্রম পুরোটাই নিজের সাথে বাবা হেল্প করেছে সব মিলিয়ে ২৫ হাজারের মত খরচ হয়েছে। যেহেতু শিক্ষকতা করি তাই ছাত্রদের পরোক্ষভাবে শিখুক কোন কাজই ছোট নয়। সাধারণত কলেজ ছুটির পরে এবং ছুটির দিনে বাগানে কাজ করি।আমি মনে করি সব বৈধ পেশাই সম্মানের।আমি মনে করি চরম অবক্ষয়ের যুগে এখনও কিছু ছাত্র আছে যাদের কাছে শিক্ষকই অনুকরণীয় আমি মনে করি শিক্ষক হয়েও আমি চাষাবাদ করছি এটা আমার শিক্ষার্থীদের সকল বৈধ পেশাকে সম্মান করতে শেখাবে, তারা পড়াশোনার পাশাপাশি কাজের প্রতি আগ্রহী হবে! শিক্ষকতার পাশাপাশি কৃষিকে একটা অবস্থানে দাড় করানো যাতে আমাদের শিক্ষিত সমাজ চাষাবাদ করতে লজ্জা না পায়। কৃষি একটা আর্ট!

  • নিউজ ভিউ 4932