logo

শিরোনাম

রেড ক্রিসেন্ট কি? তাদের কাজ কি? বিস্তারিত জানুন…

নিউজ সেভেন্টি ওয়ান ডট টিভি ডেস্ক
০৯ মে, ২০২৩ | সময়ঃ ০৩:২০
photo

আদনান সা'দঃ আজ ৮ই মে। বিশ্ব রেড ক্রস ও রেড ক্রিসেন্ট দিবস।

 

বিশ্বের সবচেয়ে বড় ও সর্বাধিক কর্মী নিয়ে কাজ করা এই স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনটির একটি বিশেষ দিন। রেডক্রস ও রেডক্রিসেন্ট এর প্রতিষ্ঠাতা জ্বীন হেনরী ডুনান্টের জন্ম হয়েছিল ৮ই মে। তাঁর জন্মদিনকে সম্মান দেখিয়ে বিশ্বব্যাপী ‘বিশ্ব রেডক্রস ও রেডক্রিসেন্ট দিবস’ হিসেবে দিনটি পালন করে আসছে সংগঠনটির সদস্যরা।

 

১৮৬৩ সালে সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় জ্বীন হেনরী ডুনান্টের হাত ধরে প্রতিষ্ঠা হয়েছিলো রেড ক্রস ও রেড ক্রিসেন্ট নামের এই সংগঠনটি। এরপর থেকেই আর্ত মানবতার সেবায় সংগঠনটির কর্মকান্ড বিশ্বজুড়ে বিস্তৃত হতে থাকে। যুদ্ধ ক্ষেত্রে আহতদের সেবা ও নিহতদের সৎকার করার উদ্দেশ্যে রেডক্রসের জন্ম হলেও এর সেবা ও কর্ম-পরিধি বর্তমানে ব্যাপক এবং বিস্তৃত।

 

সেবার মনোভাব নিয়ে প্রতিষ্ঠিত রেড ক্রিসেন্ট বন্যা, নদী ভাঙ্গন, ঘূর্ণিঝড়, টর্নেডো, জলোচ্ছ্বাস, অগ্নিকান্ড, প্রচন্ড শীত দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে জরুরী ভিত্তিতে খাদ্য সামগ্রী, ঔষধপত্র, বস্ত্র, অস্থায়ী আশ্রয় সামগ্রী প্রদান এবং উদ্ধার ও প্রাথমিক চিকিৎসা কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে। এমনকি বিধ্বস্ত এলাকার গৃহহীনদের জন্য পুনর্বাসন কর্মসূচীর আওতায় গৃহ নির্মাণ কার্যক্রম পরিচালনা করে। স্বাধীন বাংলাদেশে নানা জায়-ঝামেলা পার করে ১৯৭৩ সালের ২০ সেপ্টেম্বর আন্তর্জাতিক রেড ক্রসের তেহরান সম্মেলনে বাংলাদেশ রেড ক্রস সোসাইটি আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি লাভ করে।

 

৪ এপ্রিল ১৯৮৮ সালে রাষ্ট্রপতি আদেশের সংশোধনী বলে বাংলাদেশ রেড ক্রস সোসাইটির নাম পরিবর্তন করে বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি করা হয়। সেই সাথে বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট প্রতিকের ব্যবহার শুরু হয়।

 

বাংলাদেশের প্রতিটি প্রশাসনিক জেলায় ৬৪টি ও ৪টি সিটি করপোরেশনে ৪টি সর্বমোট ৬৮টি ইউনিট রয়েছে যার মাধ্যমে বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি সারাদেশব্যাপী নানাবিধ জনসেবা ও কল্যাণ মূলক কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে।

 

রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির স্বাস্থ্য সেবার কর্মসূচীর অধীনে এ দেশের গণ মানুষের সেবায় ২টি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ ৫টি স্বয়ংসম্পূর্ণ অত্যাধুনিক হাসপাতালসহ ৫টি মাতৃসদন হাসপাতাল, ৬১টি গ্রামীণ মাতৃসদন কেন্দ্র, ৩টি আউটডোর ক্লিনিক, ২টি চক্ষু ক্লিনিক, ৬টি রক্ত কেন্দ্র, ১টি নার্সিং স্কুল, ৩টি ধাত্রী বিদ্যা প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, এইচ আইভি/এইডস ও এ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস এর সক্রিয় ভাবে কার্যক্রম পরিচালনা, জরুরী মেডিকেল টিমের মাধ্যমে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের চিকিৎসা সেবা প্রদান করে থাকে।

 

এছাড়াও সংগঠনটির রয়েছে থ্যালাসেমিয়া রিসার্চ সেন্টার, ডেন্টালসহ আর্তমানবতার সেবায় চিকিৎসার অন্যান্য দিক।

 

১৯৭৫ সালে বাংলাদেশ ১৫টি বিদ্যালয় নিয়ে জুনিয়র রেড ক্রস কার্যক্রম শুরু হয়। পরে মহাবিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়ে ১৯৭৮ সনে যুব রেড ক্রস শাখা গঠন করা হয়। যা বর্তমানে যুব রেড ক্রিসেন্ট নামে পরিচিত। বিদ্যালয়, মহাবিদ্যালয়সহ বাংলাদেশে যুব রেড ক্রিসেন্ট আওতাভূক্ত ১,৫০০ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে এবং এর সদস্য সংখ্যা প্রায় ১,৫০,০০০, আগামীতে এর আরো প্রসার ঘটবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।

শেয়ার করুন...

আরও পড়ুন...