logo

শিরোনাম

ডেল্টা লাইফের গুরুত্বপূর্ণ নথি পাচারের চেষ্টা

নিউজ সেভেন্টি ওয়ান ডট টিভি ডেস্ক
প্রতিবেদন প্রকাশ: ১২ আগস্ট, ২০২২ | সময়ঃ ১২:০০
photo
ডেল্টা লাইফের গুরুত্বপূর্ণ নথি পাচারের চেষ্টা

শাহনাজ বেগম: বিমা খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের (আইডিআরএ) কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক সভায় সমাঝোতার মধ্যদিয়ে প্রশাসক প্রত্যাহার ও নতুন পরিচালনা পর্ষদ গঠনের সিদ্ধান্ত হয়।

 পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত জীবন বিমা কোম্পানি ডেল্টা লাইফ ইন্স্যুরেন্স থেকে প্রত্যাহার হচ্ছে প্রশাসক। সেইসঙ্গে কয়েকটি শর্তে কোম্পানিটি পরিচালনার দায়িত্ব পাচ্ছে নতুন পরিচালনা পর্ষদ। গত ৪ আগস্ট নতুন পরিচালনা পর্ষদ দায়িত্ব নেয়ার কথ থাকলেও একের পর এক নানান জটিলতায় সৃষ্টি হচ্ছে সম্প্রতি 
ডেল্টা লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির গুলশানের প্রধান কার্যালয় থেকে বহু গুরুত্বপূর্ণ নথির ফটোকপি গোপনে পাচার করার চেষ্টা করা হয়েছে। ১০ই আগষ্ট  বুধবার সন্ধ্যার আগে ডেল্টা লাইফ ইন্স্যুরেন্সের ডিএমডি মঞ্জুরে মাওলা এসব নথি ফটোকপি করে পাচার করতে চেয়েছেন অভিযোগ উঠেছে।

এ নিয়ে ডেল্টা লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির প্রধান কার্যালয়ে সর্বস্তরের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে।  
আবার নতুন করে ডেল্টা লাইফ নিয়ে ষড়যন্ত্রের চেষ্টা চলছে বলে অনেকেই মন্তব্য করেন। বৃহস্পতিবার (১১ আগস্ট) বিকেলে ডেল্টা লাইফের একাধিক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।


তারা জানান, ডিএমডি মঞ্জুরে মাওলা ২০ রিম কাগজ রিকুইজিশন দিয়ে নিজের কাছে নিয়ে অফিসের প্রধান কার্যালয়ে কোম্পানির গুরুত্বপূর্ণ বহু ফাইল ফটোকপি করেন। ওই সব ফাইলের ফটোকপি অফিসের নিচে নামিয়ে একটি গাড়িতে করে নেয়ার সময় অনেকের সন্দেহ হয়। তারা বিষয়টি ডেল্টা লাইফের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রশাসককে জানান।


প্রশাসক খবর জেনে নিজেই ঘটনাস্থল গিয়ে অন্য কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে নথির ফটোকপিগুলো উদ্ধার করেন। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে না জানিয়ে নথির ফটোকপি রহস্যজনক কারণে বাইরে পাচারের চেষ্টা করছে বলে ধারণা।

ডেল্টা লাইফের কর্মকর্তাদের মতে, ডেল্টা লাইফে প্রশাসক নিয়োগের পর মাওলা একটি গ্রুপ তৈরি করে। তার দাপটে ডেল্টা লাইফের বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তারা প্রায় কোণঠাসা।

 কিন্তু মাস্ক কেলেঙ্কারিসহ নানা অনিয়মে তার সম্পৃক্ততা রয়েছে এমন অভিযোগ করা হয়েছে।


সর্বশেষ ১০আগষ্ঠ  ডিএমডি মঞ্জুরে মাওলা প্রথমে ৪০ রিম কাগজের জন্য রিকুইজিশন দিয়ে কোম্পানির সংস্থাপন বিভাগে পাঠালে তারা আপত্তি জানিয়ে প্রস্তাব ফেরত দেয়। পরবর্তীতে ২০ রিম কাগজের জন্য দ্বিতীয়বার রিকুইজিশন দেয়।

২০ রিম কাগজ সংগ্রহ করে মাওলা রুমে নেয়া হয়। সেখানে নেয়ার পর তার পছন্দের লোকজনকে দিয়ে গুরুত্বপূর্ণ বহু নথি ফটোকপি করা হয়। ওই সব নথি আইন শাখার দরকার বলে তখন জানিয়েছে। এরপর নথির ফটোকপি বান্ডিল করে অফিসের নিচে নিয়ে আগে থেকে রাখা একটি গাড়িতে উঠিয়ে পাচারের চেষ্টা করেছে।


অভিযোগ রয়েছে, ডিএমডি মাওলা বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের সাবেক চেয়ারম্যান ড. মোশাররফ হোসেনের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত। তিনি এর আগেও ডেল্টা লাইফের প্রধান কার্যালয় থেকে অনেক নথির ফটোকপি বাইরে পাচার করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। তার বিরুদ্ধে মাস্ক কেলেঙ্কারির মামলাসহ নানা অভিযোগ রয়েছে। খোদ ডেল্টা লাইফের মালিকপক্ষ তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে এর আগে প্রশাসককে লিখিত জানিয়েছেন। এরপরও তিনি রহস্যজনক কারণে বহাল তবিয়তে আছেন।


 নথি পাচারের বিষয়ে ডেল্টা লাইফের বর্তমান প্রশাসক কুদুস খানের যোগাযোগ করার চেষ্টা করলো তাকেপাওয়া যায়নী । ঘটনাটিকে ধামাচাপা দিয়ে  ভিন্ন খাতে নেয়ার চেষ্টা চলছে বলে অভিযোগ উঠেছে 

এদিকে ডেল্টা লাইফের সাবেক মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) আদিবা রহমান কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন কোম্পানিটির বড় ধরনের ক্ষতি করার লক্ষ্যে মঞ্জুরে মাওলাসহ অনেকেই চেষ্টা করছে। বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে কঠোর নজরদারি করা প্রয়োজন বলে মনে করছি এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানাচ্ছি।

  • নিউজ ভিউ 5337