সিরাজদিখান প্রতিনিধিঃ
মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলার রশুনিয়া ইউনিয়নের চোরমর্দ্দন গ্রামে প্রবেশের একমাত্র শাখা রাস্তা সংস্কারের অভাবে বেহাল দশায় পরিনত হয়েছে। বৃষ্টির পানির কারণে রাস্তাটির বিভিন্ন স্থানে খানাখন্দে জর্জরিত হয়ে জনসাধারণের চলাচলে দুর্ভোগের প্রধান কারণ হয়ে দাড়িয়েছে। বিশেষ করে চোরমর্দ্দন গ্রামের কয়েকশ মানুষ যাতায়াতে নিয়মিত ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। বেশ কয়েক বছর পূর্বে রাস্তাটি ইটের সলিং করা হলেও ইট ভেঙে গুড়ো হয়ে পুরো রাস্তা এখন চলাচলের অনুপযোগী হয়ে আছে। স্থানীয় এলাকাবাসী রাস্তাটি সংস্কার করে চলাচলের উপযোগী করে দেওয়ার দাবী জানিয়েছেন।
সরেজমিনে উপজেলার রশুনিয়া ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডস্থ বাগানবাড়ী ব্রীজ থেকে চোরমর্দ্দন মনিপাড়া পর্যন্ত প্রায় আধা কিলোমিটার রাস্তার বিছানো ইট ভেঙে গিয়ে বিভিন্ন অংশে বৃষ্টির পানি জমে কর্দমাক্ত হয়ে বেহাল অবস্থায় পরে থাকতে দেখা যায়।
স্থানীয় জানায়, বাগানবাড়ী ব্রীজ থেকে চোরমর্দ্দন মনিপাড়া পর্যন্ত প্রায় আধা কিলোমিটার এ রাস্তাটি দীর্ঘদিন ধরে বেহাল অবস্থায় পরে থাকলেও রাস্তাটির সংস্কারে কাউকেই তেমন মাথা ঘামাতে দেখা যায় নি। খানাখন্দে জর্জরিত ও কর্দমাক্ত এ রাস্তাটি দিয়ে প্রতিদিন চোরমর্দ্দন গ্রামসহ আশপাশের বেশ কয়েকটি এলকার কয়েকশ মানুষ চলাচল করেন। রাস্তাটি দিয়ে স্কুল ও কলেজের শিক্ষার্থীসহ কোমলমতি শিশুদের যাতায়াত প্রায় সময় বেকায়দায় পরতে হয়। বিশেষ করে গ্রামের কোন অসুস্থ্য রোগী কিংবা গর্ভবতি নারীদের হাসপাতালে নিতে অনেকটাই বেগ পেতে হয় স্থানীয় বাসিন্দাদের।
স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলেন, সামান্য বৃষ্টি হলে এই রাস্তা দিয়ে চলাচল করা যায় না। স্কুল কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থীরা এ রাস্তা দিয়ে যাতায়াতের সময কাঁদা মেখে তাদের স্কুলের পোশাক নষ্ট হয়ে যায়। বৃষ্টির পানির কারণে রাস্তাটির বিভিন্ন অংশে গর্ত সৃষ্টি হয়ে পানি জমাট বাধার কারণে প্রতিদিন যাতায়াতে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন এলাকার মানুষ। জন প্রতিনিধিরা ভোটের আগে নানা প্রতিশ্রুতি দিলেও ভোটের পর তাদের কারোরই দেখা মেলে না। রাস্তাটি সংস্কার করে পিচ ঢালাই রাস্তা করে দেওয়ার দাবী জানাই।
এ বিষয়ে রশুনিয়া ইউপি চেয়ারম্যান এডভোকেট আবু সাঈদ বলেন, ব্রীজের স্টিমেট হয়েছে সয়েল টেষ্টও হয়ে, রাস্তাটি স্টিমেট হয়েছে। অতি দ্রুতই ব্রীজ ও রাস্তার টেন্ডার হবে।