ক্ষমতা হারালেও দাপট কমেনি ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ নেতা আলতাফ হোসেনের

নিউজ ডেস্ক | news71.tv
আপডেট : ০৪ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫
নিউজ সেভেন্টি ওয়ান ডট টিভি ডেস্ক
ক্ষমতা হারালেও দাপট কমেনি ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ নেতা আলতাফ হোসেনের

সিরাজদিখান (মুন্সীগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ

মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখানে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে সিঙ্গাপুর প্রবাসী সাত্তার (৩০) ও তার পরিবারের উপর অতর্কিত হামলা করে উল্টো মামলা দিয়ে হয়রানি করার অভিযোগ উঠেছে বালুচর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সাংগঠনিক সম্পাদক আলতাফ হোসেন গংদের বিরুদ্ধে।

গত ২১ জানুয়ারী সকাল ১০টার সময় উপজেলার বালুচর ইউনিয়নের খাসমহল বালুচরে সাত্তারের বাড়ির সামনের পাকা রাস্তায় এই হামলার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ১ মাসের নবজাতক শিশু ও দুই বছরের শিশু সহ ৫ জন গুরুতর আহত হয়েছে।

 

স্থানীয় সুত্রে জানা যায় সাত্তারদের সাথে আলতাফ হোসেন গংদের সাথে জমিজমা নিয়ে দীর্ঘদিনের  বিরোধ চলে আসছে। সাত্তারের পথরোধ করে কিছু বুঝে ওঠার আগেই পিছন থেকে তাকে এলোপ্যাথারি ভাবে কিল ঘুষি লাথি মেরে মাটিতে ফেলে দেয়,পরে এই খবর পেয়ে তাকে উদ্ধার করতে আসেন তার বাড়ির লোক জন,পরে তাদেরকেও সন্ত্রাসী মোঃআলতাফ হোসেন ও তার সন্ত্রাসী বাহিনীরা মধ্যযুগি কায়দায় মারধর করে শরীরের বিভিন্ন স্থানে রক্তাক্ত ও নীলা ফুলা যখম করে।

 

ভুক্তভোগী প্রবাসী সাত্তার বলেন মূলত আমার ক্রয়কৃত সম্পত্তি জবর দখলের চেষ্টা করতেছে আলতাফ হোসেন গংরা এবিষয়ে একটি দেওয়ানি  মোকদ্দমা চলমান রয়েছে মুন্সিগঞ্জ আদালতে। যখনই মামলার রায় আমাদের পক্ষে আসবে বুঝতে পেরেছে তখন থেকেই আমাকে  সম্পত্তি থেকে চলে যেতে বলে,তা না হলে আমার বাড়ি ঘর জ্বালিয়ে দিবে আমাকে মেরে গুম করে ফেলবে বলে হুমকি দিতে থাকে এবং গত ২১ জানুয়ারি সকাল ১০ টার সময় আলতাফ হোসেন গংরা জোর করে আমার জায়গার গাছ কাটে,  আমি বাদা দিতে গেল আলতাফ হোসেনের ভাই রুবেল আমাকে দাও নিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা চালায়, প্রাণের ভয়ে আমি দৌড়ে বাড়ীর সামনে রাস্তার উপরে পৌঁছাই তখন আমার শশুর জামাল হোসেন দেখে তাদের থামানোর চেষ্টা করলে আলতাফ হোসেন আমার শশুরের উপরে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে সন্ত্রাসী কায়দায় আতর্কিত হামলা চালায়।

এসময় দেশীয় অস্ত্র লাঠি সোটা নিয়ে আমার পরিবারের নারী পুরুষ সকলে উপরে মধ্যযুগীয় কায়দায় হামলা চালায়  আওয়ামী লীগের ক্যাডার বালুচর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আলতাফ হোসেন(৫৫) রুবেল (৪০)বুলু আক্তার (৫০)পিতা মৃত আব্দুর রব  রবিন (২৬) পিতা আলতাফ হোসেন রাফা (২২) পিতা মাসুম হেনা আক্তার (৫৫) স্বামী আলতাফ হোসেন রুবিনা আক্তার (৪৫)সহ অজ্ঞাতনামা  আরো ১০-১৫ জন। ওরা আমার ১ মাসের শিশু সন্তান অসুস্থ স্ত্রী ও ভাতিজা ২ বছরের শিশু কেও তারা ছাড় দেয়নি, পরে আমাদের ডাক চিৎকার শুনে আশেপাশের লোকজন এসে আমাদেরকে উদ্ধার করে, সিরাজদিখান উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়।

 

এবিষয়ে ভুক্তভোগী সাত্তারের ভাবি সীমা আক্তার ২১/০১/২০২৫ তারিখে সিরাজদিখান থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেন, কিন্তুু থানা পুলিশ অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কোন আইনি পদক্ষেপ না নিয়ে উল্টো প্রবাসী পরিবারের লোকজনকে এজাহার নামীয় আসামি করে অভিযুক্তদের পক্ষ নেয়। থানা থেকে ভুক্তভোগী সিঙ্গাপুর প্রবাসী সাত্তারের পরিবারকে বলা হয়, আপনাদের মামলা নেয়া যাবে না এখানে উপরের তদবির আছে ছাত্র সমন্বয়কদের তদবির আছে। ভুক্তভোগী সাত্তার বলেন ঘটনার আগে এবং পরের সকল প্রমাণ আমাদের কাছে আছে সিসিটিভি ফুটেজ সহ সকল প্রমাণ আমি আপনাদেরকে দেখাতে পারবো।

 

বালুচর ইউনিয়নের বিট অফিসার এসআই নোমান সিদ্দিকী বলেন, ঘটনার আগে পরের সব বিষয়  আমি জানি,সীমা আক্তার বাদী হয়ে একটি অভিযোগ করেছে এর সততা রয়েছে এ বিষয়টি আমি ওসি স্যারকে জানিয়েছি।

সিরাজদিখান থানার অফিসার ইনচার্জ খন্দকার হাফিজুর রহমান সাংবাদিকদের জানান,যারা আমাদের কাছে আসছে তাদের ডকুমেন্ট ছিল মাথায় ব্যান্ডেজ ছিল মামলা নেয়ার উপযোগী ছিল তাই মামলা হয়েছে, অন্যদিকে যাদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। আসামীদের পক্ষ থানায় এসেছে কিন্তু তারা উপযুক্ত কোন ডকুমেন্টস দেখাতে পারিনি মেডিকেল সার্টিফিকেট দেখাতে পারিনি যার কারণে তাদের মামলা নেয়া হয়নি আমি যতটুকু জানি আসামি পক্ষই মারধর করেছে, এবং যতটুকু শুনেছি তারা নাকি নিজেরা বসে এ বিষয়ে সমাধান করবে।