মোঃ জাহাঙ্গীর আলম : মুন্সীগঞ্জের জমিতে বীজ আলু রোপণ শুরু করেছেন চাষিরা। তবে ভরা মৌসুমে আলু ক্ষেত অঞ্চলের চাষিদের মাঝে আলু বীজের জন্য হাহাকার পড়ে গেছে। চাষিরা বলছেন, চাহিদার তুলনায় বীজ আলু সরবরাহ খুবই অপ্রতুল।
কিছু বাণিজ্যিক চাষিদের বীজ আলু সংরক্ষিত আছে হিমাগারে।
তবে হাজারো প্রান্তিক চাষিকে নির্ভর করতে হচ্ছে বিভিন্ন কোম্পানির সরবরাহকৃত বীজ আলু ওপর।
তবে অভিযোগ উঠেছে বীজ আলু চলমান সংকট পরিস্থিতিতে বিভিন্ন কোম্পানি বাড়িয়ে দিয়েছেন বীজ আলুর দাম।
এ সংকটকে পুঁজি করে বিএডিসি ও বিভিন্ন কোম্পানির স্থানীয় ডিলালরাও বীজ আলুর কৃত্রিম সংকট তৈরি করে গলাকাটা দাম আদায় করছেন বলে চাষিদের অভিযোগ।
ফলে এ অঞ্চলের চাষিরা বীজ আলু সংকট নিরসনে স্থানীয় প্রশাসনসহ কৃষি বিভাগের দফতরগুলোর কঠোর নজরদারির দাবি করছেন।
জেলা প্রশাসন, কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অভিযান করলেও স্বস্তি পাচ্ছে না আলু চাষিরা
মুন্সীগঞ্জে সর্বাধিক আলু চাষ এলাকা টঙ্গীবাড়ী
সরজমিনে টঙ্গীবাড়ি বাজারে গিয়ে দেখা যায় কৃষকরা বিভিন্ন দোকানে ছোট ছুটি করছে চাহিদা অনুযায়ী পাচ্ছে না বীজ আলু।
কৃষকরা অভিযোগ করে বলেন টঙ্গীবাড়ি বাজারের বীজ আলু ডিলারদের সিন্ডিকেটের কারণেই বেড়েছে দাম
বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন ও বিভিন্ন কোম্পানির নির্ধারিত মূল্যের দ্বিগুণ দামে বিক্রি হলেও কৃষকদের দেয়া হচ্ছে তাদের নির্ধারিত মূল্যের ক্যাশ ভাউচার ।
দ্বিগুণ দামের বীজ আলু কেনার ফলে বড় ধরনের লোকসানের আশঙ্কা করছেন কৃষকরা
এ বিষয়ে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক বিপ্লব কুমার মোহন্ত কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন আমরা প্রশাসনের কাছে বিষয়টি অবগত করেছি তর আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন তবে যদি বীজ আলুর বাক্সর গায়ে দাম নির্ধারণ করা থাকতো তাহলে হয়তো সিন্ডিকেট দের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা যেত।কৃষকদের উদ্দেশ্যে আমি বলব যারা বীজ আলু সংরক্ষণ করবে তারাই বিদেশে আলু রোপন করেন। তাহলে সংকট কমে যাবে।
বাজার সিন্ডিকেট ভেঙে নির্ধারিত মূল্যে আলু ও সার কিনতে চায় কৃষকরা।