বেনাপোল প্রতিনিধি,
সোনালী ব্যাংক,বেনাপোল শাখার সহকারী ম্যানেজার রুহুল আমিনের নারী কেলেংকারীর কূকীর্তি ফাঁস হয়েছে। নারী লোভী এই ব্যাংক কর্মকর্তা একজন হুন্ডি পাচারকারী। খবর নিয়ে জানা গেছে,রুহুল আমিনের বাড়ী সাতক্ষীরা জেলার কালীগঞ্জ উপজেলায়,চাকরী'র সুবাদে সে দীর্ঘদিন বেনাপোল ব্রাঞ্চ,সোনালী ব্যাংক শাখায় কর্মরত আছে। কিন্তু নারী লোভী এই কর্মকর্তা,বেনাপোল ব্যাংক শাখা কর্মকর্তাকে মোটা অংকের মাশোয়ারা দিয়ে বেনাপোল চেকপোষ্টে অবস্থিত সোনালী ব্যাংক শাখা অফিস(পাসপোর্ট যাত্রীদের জন্য ভ্রমন ট্যাক্স প্রদান কার্যালয়) পরিচালনার জন্য সপ্তাহব্যাপি রোটেশন অনুযায়ী ঐ অফিসের কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালণ করে থাকে।
চেকপোষ্টের ঐ ব্যাংক শাখায় খবর নিয়ে জানা গেছে, নিয়মিত সে অফিস না করে পাসপোর্ট দালালী,হুন্ডি পাচার এবং চেকপোষ্টের কাষ্টমস কর্মকর্তা/কর্মচারীদের যোগসাজসে অবৈধ ভাবে পণ্য আনায়ন,সর্বপরী রুগী পাসপোর্টযাত্রীদের ওষুধ ক্রয়ের নামে পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত থেকে মদ এবং অন্যান্য মাদক দ্রব্য আনায়ন করে থাকে।
অদৃশ্য শক্তির অধিকারী নারী লোভী এই ব্যাংক কর্মকর্তার হেনস্থার স্বীকার হয়েছেন এক নারী পাসপোর্টযাত্রী। রুবিয়া খাতুন(৩৪),পিতা-জহুরুল খাঁ,মাতা-সাজিদা বেগম,গ্রাম-কাপসন্ধ্যা,থানা-আশাশুনী,জেলা-সাতক্ষীরা,পাসপোর্ট নাম্বার-এ ১৩৩৬৬৬৬১ এক ভিডিও সাক্ষাতে জানিয়েছেন, "আনুমানিক দু'মাস আগে চিকিৎসার জন্য ভারতে গমনের উদ্দেশ্যে ভ্রমন ট্যাক্স প্রদান করার জন্য চেকপোষ্টের সোনালী ব্যাংক শাখায় গেলে সেখানকার দায়িত্বরত কর্মকর্তা রুহুল আমিন আমার পাসপোর্টটি গ্রহন করেন। আমার পাসপোর্টের ঠিকানা জেনে চতুর্বাজ ঐ কর্মকর্তা জানায় তার বাড়ীও সাতক্ষীরা জেলার কালীগঞ্জে"।
"সেখানে কিছুক্ষণ আলাপে ঐ কর্মকর্তা আমার বাড়ীর ঠিকানা তার ডায়রীতে লিখে রাখে,সেই সাথে আমার "হোয়াটসঅ্যাপ" নাম্বারটিও লিখে নেয়। আমি সরল বিশ্বাসে তাকে নাম্বারটি দিতে রাজী হই। সেই থেকে সে প্রতিদিন আমার "হোয়াটসঅ্যাপ"নাম্বারে আমাকে কু-প্রস্তাব দিতে থাকে এবং নিজেকে অবিবাহিত বলে দাবী করে। ভারতে গমনের উদ্দেশ্যে বেনাপোলে আসলে আপ্যায়নের নামে সে অফিসের দায়িত্ব ছেড়ে চেকপোষ্টে তার তৈরীকরা নিজস্ব দালালচক্রের ঘরে আমাকে বসিয়ে যৌন উত্তেজনা মূলক কথাবার্তা বলতো,এতে আমি অতিষ্ট হয়ে,কৌশলে আমি তার(রুহুল আমিন) সহধর্মিনীর মোবাইল নাম্বরটি সংগ্রহ করে তার স্ত্রী'কে উত্যাক্তের বিষয়টি অবহিত করি"।
কিন্তু,"গত ২৪ নভেম্বর/২০২৪ নিয়মিত চিকিৎসার জন্য ভারত গমনের উদ্দেশ্যে আমি(রুবিয়া খাতুন) বেনাপোল চেকপোষ্টে আসলে, যৌন নিবারনের জন্য সে জোর পূর্বক আমাকে তার নিজস্ব দালালচক্রের বাহিনীদের ঘরে টেনে হিচড়ে নিয়ে যেতে চাইলে,আমার ডাক চিৎকারে স্থানীয় লোকজন আমাকে উদ্ধার করে"।
এই নারী লোভী ব্যাংক কর্মকর্তা রুহুল আমিনের শাস্থি দাবি করে ভুক্তভোগী নারী পাসপোর্টযাত্রী(রুবিয়া) স্থানীয় সাংবাদিকদের দ্বারস্থ হন। বিষয়টি সোনালী ব্যাংক,বেনাপোল ব্রাঞ্চ শাখার কর্মকর্তা-জহির রায়হান'কে জানালেও,ব্যাংকের পক্ষ থেকে তার বিরুদ্ধে কোন আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করেনি বলে রুবিয়া খাতুন জানিয়েছেন। সাংবাদিকরা মুঠোফোনে তার (রুহুল আমিন) সাথে যোগাযোগ করলে তিনি এই বিষয়ে কোন বক্তব্য দিতে রাজি হন না এবং সাংবাদিকদের ম্যানেজ করার জন্য এক সাথে বসে চা খাওয়ার কথা বলে।