মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি :
বাংলাদেশে শেখ হাসিনা একটি গণহত্যা করেছে। এই গণহত্যার বিচার আন্তর্জাতিক আদালতে হবে। অর্থাৎ হেগের আদালতে শেখ হাসিনা ও তার মন্ত্রীরা যারা এই গণহত্যার হত্যার সাথে জড়িত তাদেরকে অন্তর্বর্তী সরকার যেনো তাদেরকে বিচারের আওতায় আনে! এই আন্দোলনে যারা শহীদ হয়েছে, তাদের প্রত্যেককে যেনো শহীদি মর্যাদায় দেওয়া হয়! তাদেকে রাষ্ট্রীয়ভাবে যেনো ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়। আজ বুধবার বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে মুন্সীগঞ্জের উত্তর ইসলামপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নিহতের পরিবারের সাথে দেখা করে তিনি সাংবাদিকদের প্রশ্নে এসব কথা বলেন। এসময় বিএনপি পক্ষ থেকে ছাত্র আন্দোলনে নিহত চারজনের পরিবারের সদস্যদের কাছে নগদ অর্থ দেন।
তিনি আরও বলেন, ভবিষ্যতে জনগণ যখন আমাদের ক্ষমতায় নিয়ে আসবে, তখন এই পরিবারগুলো যাকে প্রতি মাসে রাষ্ট্রীয়ভাবে ভাতা পায়, ক্ষতিপূরণ পায় এবং যারা আশ্রয়হীন তাদের আশ্রয় দেওয়া হবে। সেইসাথে তাদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করবে আমাদের সরকার। তিনি আরও বলেন, এতগুলো মানুষের আত্মত্যাগে একটা স্বৈরাচার সরকারের পদত্যাগ হয়েছে। রাজা লক্ষণ সেনের পর ৮১৬ বছর পরে এই বঙ্গে স্বৈরশাসক শেখ হাসিনার পিছন দিয়ে পালিয়ে গেছে।
এর আগে দুপুর একটার দিকে জেলা বিএনপি কার্যালয়ে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে মুন্সীগঞ্জে তৃণমূল নেতাকর্মীদের সাথে আলোচনা ও কর্মীসভা করেন তারা। অনুষ্ঠানের শুরুতেই দেশজুড়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত শহীদদের স্মরণ করেন বিএনপি নেতাকর্মীরা।
এ সময় অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন, বিএনপি কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন। জেলা বিএনপির সদস্য সচিব কামরুজ্জামান রতনের সভাপত্বিতে ও জেলা বিএনপি যুগ্ম আহবায়ক মো. মহিউদ্দিনের সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য রাখেন, বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক সাইদুল রহমান বাবুল, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক বেনজির আহমেদ টিটু।
এর আগে দলীয় বিভিন্ন ব্যানার-ফেস্টুন হাতে একে একে মিছিল নিয়ে এসে কর্মীসভায় যোগদেন তৃণমূল নেতাকর্মীরা। এ সময় বিএনপি নেতাকর্মীদের বিভিন্ন স্লোগানে মুখরিত হয়ে ওঠে সুপারমার্কেট গোল চত্বর এলাকা।#