মাসুদ রানা ও জাহাঙ্গীর আলম : পবিত্র ঈদুল আজহা সামনে রেখে প্রস্তুত হচ্ছে মুন্সীগঞ্জের সদর উপজেলার মুক্তারপুর পশুর হাট।
গত দুই-তিন দিন আগে থেকে হাট প্রস্তুতির কাজ শুরু হয়েছে।
হাটের প্রধান প্রবেশপথ তৈরি করা হয়েছে মুক্তারপুর নরায়ণগঞ্জ সিপাহিপাড়া সংযোগ সড়কে। বিসিকের পাশ দিয়ে ও পশু প্রবেশের পথ রয়েছে। প্রধান প্রবেশ পথে হাসিল দেওয়ার কাউন্টার বসানো হয়েছে ।
এছাড়া পঞ্চসার ইউনিয়ন পরিষদের প্রবেশ মুখেও হাসিল সংগ্রহের কাউন্টার তৈরি করা হয়েছে । হাট শুরুর আগে কাউন্টারের সংখ্যা ৪ ক্রিমুখী কাউন্টার ৩টা । প্রয়োজন অনুসারে কাউন্টার সংখ্যা বাড়তে পারে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
জানা গেছে, ঈদের অন্তত ১০ দিন আগেই রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশের স্থায়ী ও অস্থায়ী পশুর হাটগুলো সাজানোর প্রস্তুতি নেন ইজারাদাররা। বেশির ভাগ হাট প্রস্তুতের কাজ শেষের দিকে। মুক্তার অস্থায়ী এই পশুর হাটের প্রস্তুতি এখন শেষ পর্যায়ে। হাটের পাশে হাট-সংশ্লিষ্ট কর্মীদের অস্থায়ী থাকা-খাওয়া ও টয়লেটের ব্যবস্থা করা হয়েছে।হাট প্রস্তুতের কাজ করা মিস্ত্রিরা জানান, হাট পুরোপুরি প্রস্তুত হতে আরও কয়েকদিন লাগবে।
এরপর হাটে গরু-ছাগল উঠবে। হাটের নির্ধারিত জায়গায় বাঁশ দিয়ে গরু বাঁধার উপযোগী করা হয়েছে।গরু বেপারীরা বলেন, আমরা একেক জন বিভিন্ন সংখ্যক গরু আনবো। গরু নিয়ে আসার আগে জায়গা নির্ধারণ করছি। হাটে পশু বিক্রির ক্ষেত্রে ভালো জায়গা হওয়া জরুরি। একদিনের মধ্যেই আমাদের গরু ঢাকার বাইরে থেকে এই বাজারে চলে আসবে।আরেক গরু বেপারী বলেন, এ বছর খামার থেকেই অনেকে গরু কিনছেন। অনেকে আবার মোবাইল ফোনেও নাকি গরু কিনছেন। এবার আমি ৬০ থেকে ১০০টি গরু নিয়ে আসব। বেশি বড় গরুর চাহিদা একটু কম। সবাই মাঝারি মানের গরু চায়, তাই মাঝারি আকৃতির গরু বেশি আনব। তবে কয়েকটি বড় গরুও থাকবে। দেশী গরুর চাহিদা থাকায় দেশী গরুও বাজারে আনবো।
হাট ব্যবস্থাপনায় কমিটির সমন্বয়ক পঞ্চসার ইউনিয়নের বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মতিন, বিএনপি নেতা মো. শাহ আলম,গিয়াস উদ্দিন জানান, বৃহস্পতিবার থেকে হাটে পশু আসবে। শুক্রবার থেকে পুরোপুরি পশু বিক্রি শুরু হবে। মূল বিক্রি ঈদের আগের চার-পাঁচ দিনের মধ্যে হয়। এ বছর ৪টি স্থায়ী হাসিল কাউন্টার থাকবে। সব মিলিয়ে এ বছর প্রায় শতাধিক স্বেচ্ছাসেবী কাজ করবেন। সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী হাসিল সংগ্রহ করা হবে। গত বছর যে টাকা দিয়ে হাটের ইজারা নেওয়া হয়েছিলো এ বছর একই টাকা দিয়ে হাট ইজারা নিতে হয়েছে। এ বছর ডিজিটাল ব্যাংকিং ব্যবস্থা থাকবে হাটে। গরু-ছাগলের জন্য চিকিৎসার ব্যবস্থা ও থাকবে। এছাড়া পাইকারদের জন্য থাকা খাওয়ার ব্যবস্থা থাকছে। হাটের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সিসি ক্যামেরা দিয়ে সার্বক্ষণিক মনিটরিং করা হবে। শুক্রবার থেকে পুরোদমে হাট শুরু হবে। এছাড়া ক্রেতা-বিক্রেতাদের বিভিন্ন প্রয়োজনে আমাদের টিম জরুরি ভিত্তিতে সহায়তা করবে।সব মিলিয়ে আমরা আশাবাদী এবার বেঁচা বিক্রি ভালো হবে।