আদনান সাদঃ মুন্সীগঞ্জের আলু নিয়ে ব্যাপক তুলকালাম কান্ড ঘটছে বিগত কিছুদিন যাবৎ। আলু উৎপাদনে শীর্ষ জেলা মুন্সীগঞ্জে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর অভিযান অব্যাহত রেখেছেন। এরই মধ্যে মুন্সীগঞ্জে ভোক্তা অধিকারের মহাপরিচালক পরিদর্শনে এসেছিলেন।
প্রতিদিনই ভোক্তা অধিকার বিভিন্ন কোল্ডস্টোরেজে অভিযান পরিচালনা করে লাগাতার জরিমানা করছেন, অন্যদিকে আলু ব্যবসায়ীরা তাদের কৌশল পাল্টে ব্যবস্যা করে যাচ্ছেন। সরকার বর্তমানে আলুর দাম বেঁধে দিয়েছে ২৭ টাকা কেজি। আজ দুপুরে সদর উপজেলার নিপ্পন কোল্ড স্টোরেজে এটি নিশ্চিত করেছেন ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর মুন্সীগঞ্জ জেলার সহকারী পরিচালক আব্দুস সালাম।
তবে ব্যবসায়ীরা তাদের পুরাতন অভিযোগে অটল। তারা বলছেন, সরকারি দামে বিক্রিতে লোকসান গুনতে হচ্ছে তাদের। তাই তারা আলু হিমাগার থেকে সরাসরি বিভিন্ন মোকামে পাঠিয়ে দিচ্ছেন।
আজ মঙ্গলবার আরো একটি হিমাগার প্রতিষ্ঠানকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করেছে উপজেলা প্রশাসন। মঙ্গলবার দুপুর ৩টায় মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আফিফা খানের নেতৃত্বে উপজেলার কয়েকটি হিমাগারে তদারকি অভিযান পরিচালনা করে উপজেলা প্রশাসন ও ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।
এ সময় পশ্চিম মুক্তাপুরের দেওয়ান কোল্ড স্টোরেজে নিয়ম অমান্য করে চটের পরিবর্তে প্লাস্টিকের বস্তায় আলু সংরক্ষণ করায় ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এছাড়া অন্যান্য হিমাগারে সরকারের বেঁধে দেওয়া দামে আলু বিক্রির নির্দেশনা দেওয়া হয়।
ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর মুন্সীগঞ্জ কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আবদুস সালাম জানান, আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। আমরা সরকার নির্ধারিত দামে আলু বিক্রি হচ্ছে কিনা সেদিকে নজর রাখছি।
মুন্সীগঞ্জ জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, জেলায় এ বছর মোট আলুর চাহিদা রয়েছে ৯৫ হাজার ৮৮ টন। সেখানে উৎপাদিত হয়েছে ১০ লাখ ৫৬ হাজার ৪৬৩ টন। জেলার ১৬০ টি হিমাগারে গত বৃহস্পতিবার পর্যন্ত মজুদ ছিল ২ লাখ ২৩ হাজার ১৮২ টন আলু। জাতীয় পর্যায়ে ২০২২-২৩ অর্থ-বছরে আলুর উৎপাদন ছিল ১ কোটি ১১ লাখ ৯১ হাজার ৫০০ টন। দেশে আলুর চাহিদা ৭০ -৮০ লাখ টন। সে হিসাবে উদ্বৃত্ত থাকে ৩৬ লাখ টনের বেশি আলু।