আদনান সাদঃ মুন্সীগঞ্জের হিমাগারগুলোতে পর্যাপ্ত আলু মজুদ থাকা সত্ত্বেও বিক্রি হচ্ছে চড়া দামে। আলু উৎপাদনের অন্যতম শীর্ষ জেলার ভোক্তা ও কৃষকের দাবি, সিন্ডিকেট করে ফায়দা লুটছে মজুদদাররা। এর ফলে চড়া দামে আলু ক্রয় করছেন ক্রেতারা।
হিমাগার পর্যায়ে ২৮ টাকা কেজিতে আলু বিক্রি হলেও পাইকারি বাজার দর ৩৬ টাকা পর্যন্ত। আর খুচরা বাজারে তা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়। অথচ গেল বছর এই সময় কেজি প্রতি খুচরা বাজার দর ছিল মাত্র ১৬ টাকা। ভোক্তাদের দাবি, সিন্ডিকেট করে ফায়দা লুটছে মজুদদাররা।
ভক্সপপ: ক্রেতা
মুন্সীগঞ্জের হিমাগাগুলোতে আলু বাজারজাত চলছে। তবে হিমারগুলো থেকে কি পরিমাণ আলু বের করা হবে তার নিয়ন্ত্রণ করছে একটি সিন্ডিকেট। নভেম্বরের শেষ দিকেই বাজারে নতুন আলু আসে। কিন্তু মুন্সীগঞ্জ জেলার ৬৩ টি হিমাগারে এখনো প্রায় ৩ লাখ মেট্রিক টন আলু মজুদ রয়েছে। এর মধ্যে ৭৭ হাজার ৫৮১ মেট্রিক টন বীজ আলু। আগামী চার মাসে জেলায় আলুর চাহিদা সাড়ে ৩১ হাজার মেট্রিক টন।
আলুর দাম নিয়ন্ত্রনে বাজার মনিটরিং এর আশ্বাস দিয়েছেন জেলা প্রশাসন।
জেলায় এবছর ৩৪ হাজার ৩৪৬ হেক্টর জমিতে ১০ লাখ ৫৬ হাজার মেট্রিক টনেরও বেশি আলু উৎপাদন হয়েছে। আর চাহিদা মাত্র ৯৮ হাজার মেট্রিক টন।