লৌহজংয়ে তুচ্ছ ঘটনায় হামলা, নারীসহ আহত তিনজন

নিউজ ডেস্ক | news71.tv
আপডেট : ১৭ ফেব্রুয়ারী, ২০২২
নিউজ সেভেন্টি ওয়ান ডট টিভি ডেস্ক
প্রতিকী ছবি

তুষার আহাম্মেদ: লৌহজংয়ে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে দুই নারীসহ তিনজন গুরুতর আহত হয়েছে। গত সোমবার বিকাল ৩টার দিকে উপজেলার কনকসার ইউনিয়নের মশদগাঁও গ্রামে এ ঘটনা ঘটে৷ এ বিষয়ে ভুক্তভুগীরা লৌহজং থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। তবে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেও বিচার পাচ্ছে না বলে দাবী ভুক্তভোগীদের।

 
আহত আলো বেগম (৫০), উজ্জ্বল খান (৩২) ও জুঁথি আক্তার (২৯) উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছে। এদের মধ্যে আলো বেগমের বাম পায়ের আঙ্গুলের হাড় ভেঙে গিয়েছে। উজ্জ্বল খানের মাথা ফেটে যায়। ফলে ১২টি সেশাই দিতে হয়েছে। সে সাথে জুঁথি আক্তারকে এলোপাতাড়ি কিল-ঘুষি ও কাঠের ডাসা, লোহার পাইপ, হকিস্টিক দিয়ে মারধর করে। এতে সে গুরুতর আহত হন।
 
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার দুপুরে পুকুরের কচুরিপানা নিয়ে তর্কবিতর্ক হয়। এক পর্যায়ে বাবুল খানের হুকুমে এমরান খান (৩৫), মিরাজ খান (৩২), জাহিদ খান (২৮), আকতার খান (৩৮), ইথেন খান (২৬), সবুজ ফকির (৩৩), সাইফ খান (২০) ও মুক্তা বেগম (৫০) যৌথভাবে উজ্জ্বল খানের উপর ধারালো অস্ত্র, চাপাতি, হকিস্টিক, লোহার পাইপ রড, কাঠের ডাসা ও লাঠিসোটা দিয়ে হামলা করে। এবং উজ্জ্বলকে এলোপাতাড়ি মারধর করে। এমতাবস্থায় উজ্জ্বলের মা আলো বেগম ও স্ত্রী জুঁথি আক্তার এগিয়ে আসলে তাদের উপর আক্রমণ করে। এতে তিনজন গুরুতর আহত হন। পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে চিকিৎসা প্রদান করা হয়।
 
বাদী আবুল হোসেন খান জানান, আমার ছেলের মোটর সাইকেলটিও ভেঙে ফেলেছে। সে সাথে ঘরে ৯ ভরি ৮ আনা স্বর্ণ লুট করে নিয়ে যায়। থানায় অভিযোগ করার পরেও এখনও এর বিচার পেলাম না। তিনি আরও জানান, গত ২৬ ডিসেম্বর ইউনিয়ন নির্বাচনে ইউপি সদস্য প্রার্থী মিরাজ খানের বিরোধীতা, জমি সংক্রান্ত বিরোধ ও পূর্ব শত্রুতার জেরেই তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে এ হামলাটি করে। ওদের জুলুমে বসবাস করা অযোগ্য হয়ে পড়েছে।
 
অভিযুক্ত মিরাজ খান জানান, তাদের সাথে আমাদের রক্তের সম্পর্ক। জমি নিয়ে পারিবারিক ঝামেলা রয়েছে। শুক্রবার দুপুরে কচুরিপানা নিয়ে ঝগড়া হয়। আমার দাদাকে অকথ্যভাষায় গালাগালি করে। এক পর্যায়ে কথা কাটাকাটি হয়। পরে ইট পাটকেল ছুড়াছুড়িতে তারা আহত হয়েছে। আমি নিজেও আহত হয়েছি। আমি তো ওদের মতো কাউকে বলতে যাইনি। মিরাজ আরও বলেন, তাদের এ সকল অভিযোগ মিথ্যা ও বানোয়াট।
 
লৌহজং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি আব্দুল্লাহ আল তায়াবীর জানান, গত ১৪ ফেব্রুয়ারী কচুরিপানা নিয়ে এ ঝামেলাটি বেঁধেছে। এ বিষয়ে আবুল হোসেন খান নামক এক ব্যক্তি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। আমরা তদন্ত করছি। আমাদের এক অফিসাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তার তদন্ত শেষ হলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।