নিউজ সেভেন্টি ওয়ান ডট টিভি ডেস্ক 
গজারিয়া প্রতিনিধি: মুন্সিগঞ্জের গজারিয়া উপজেলায় এক গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সোমবার (২২ ডিসেম্বর) ভোরে উপজেলার বাউশিয়া ইউনিয়নের পুরান বাউশিয়া গ্রাম থেকে ওই গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় নিহতের স্বামীকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নেওয়া হয়েছে।
নিহত গৃহবধূর নাম জিলহজ আক্তার (২৮)। তিনি কুমিল্লা জেলার চাঁনদিনা উপজেলার পরচঙ্গা গ্রামের মজিবুর রহমানের মেয়ে।
নিহতের স্বামী কামরুল ইসলাম (৩৫) কুমিল্লার চাঁনদিনা উপজেলার বড় বাড়েরা গ্রামের বাসিন্দা। তিনি পেশায় বাবুর্চি এবং গজারিয়া উপজেলার বাউশিয়া ইউনিয়নের পুরান বাউশিয়া গ্রামে আব্দুল হাসানের ভাড়া বাসায় বসবাস করছিলেন। জানা গেছে, তিনি দীর্ঘদিন ধরে গজারিয়ায় কর্মরত ছিলেন এবং এক সপ্তাহ আগে স্ত্রী ও সন্তানদের নিয়ে সেখানে স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করেন। তাদের তিন সন্তান—দুই মেয়ে ও এক ছেলে।
পুলিশ ও পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, নিহত গৃহবধূকে রান্নাঘরের আড়ার সঙ্গে ওড়না পেঁচানো অবস্থায় ঝুলন্ত দেখা যায়। ভোর রাতে ফজরের নামাজের সময় স্বামী ঘুম থেকে উঠলে বড় মেয়ে প্রথমে বিষয়টি দেখতে পেয়ে চিৎকার দেয়। পরে স্থানীয়দের সহায়তায় বিষয়টি পুলিশকে জানানো হয় এবং ৯৯৯ নম্বরে কল দেওয়া হয়।
খবর পেয়ে গজারিয়া থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে। এ সময় নিহতের স্বামী কামরুল ইসলামকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।
ঘটনাস্থল পরিদর্শনকারী এসআই মেহেদী সোহরত জানান, নিহতের শরীরে বাহ্যিক কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। তবে গলায় ফাঁসের দাগ রয়েছে।
পারিবারিক সূত্রে আরও জানা গেছে, কিস্তির টাকা পরিশোধ নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কিছুদিন ধরে মানসিক চাপ ও দুশ্চিন্তা চলছিল। শনিবার (২১ ডিসেম্বর) রাতেও এ বিষয় নিয়ে পারিবারিক আলোচনা হয় বলে স্বজনরা জানিয়েছেন।
নিহতের ভাই ইব্রাহিম (৪০) জানান, তারা এ ঘটনায় কোনো অভিযোগ দিতে চান না। মরদেহ বাড়িতে নিয়ে দাফনের জন্য প্রশাসনের সহায়তা চাওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে গজারিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ হাসান আলী বলেন, খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করেছে। বিষয়টি তদন্তাধীন রয়েছে। আইনানুগ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।