সিরাজদিখান (মুন্সীগঞ্জ)প্রতিনিধি:
মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলার কেয়াইন ইউনিয়ন পরিষদে সরকারি ফি দিয়ে ট্রেড লাইসেন্স ও এনওসি নিতে গিয়ে চরম ভোগান্তির শিকার হয়েছেন মুন্সীগঞ্জ জেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক প্রিন্স নাদিম ও সিরাজদিখান উপজেলা ছাত্রদলের সভাপতি সাফকাত হোসাইন রকি। তাদের অভিযোগ, অনৈতিক দাবিতে সাড়া না দেওয়ায় কেয়াইন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি, ছাত্র হত্যা মামলার আসামি আশরাফ আলী সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তাদের বিরুদ্ধে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত অপপ্রচার চালাচ্ছেন।
ঘটনার সূত্রপাত এক হাউজিং কোম্পানির ট্রেড লাইসেন্স ও এনওসি সংগ্রহ করতে ইউনিয়ন পরিষদে গেলে। সেখানে দায়িত্বপ্রাপ্ত সচিব জানান, এসব কাগজপত্রের বিষয়ে চেয়ারম্যানের সঙ্গে কথা বলতে হবে। প্রিন্স নাদিম তখন চেয়ারম্যানের সঙ্গে কথা বলতে অস্বীকৃতি জানান। এরপর সচিব নিজ মোবাইলে চেয়ারম্যানকে কল করে ছাত্রদল সভাপতি রকিকে কথা বলতে বলেন। অভিযোগ অনুযায়ী, সেসময় চেয়ারম্যান এনওসি দিতে অর্থের বিনিময়ে অনৈতিক দাবি জানান।
সিরাজদিখান উপজেলা ছাত্রদলের সভাপতি সাফকাত হোসাইন রকি বলেন, সচিব নিজ মোবাইলে চেয়ারম্যানকে ফোন করে আমাকে কথা বলার জন্য ধরিয়ে দেন। ফোনে চেয়ারম্যান আশরাফ আলী এনওসি দেওয়ার বিনিময়ে ৫ লাখ টাকা দাবি করেন। আমি বলি, টাকা দিলে রশিদ দিতে হবে। তিনি বলেন, এই টাকার কোনো রশিদ হয় না, ইউএনও, ডিসি সবার ভাগ থাকে, সবাই এভাবেই এনওসি নেয়।
জেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক প্রিন্স নাদিম বলেন, ইউনিয়ন পরিষদে গিয়ে দেখি সচিব স্থানীয় এক স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতার সঙ্গে মিটিং করছেন। আমাদের বসিয়ে রেখে বললেন, চেয়ারম্যানের সঙ্গে কথা বলতে হবে। আমি বলি, যদি দরকার হয় ইউএনওর সঙ্গে কথা বলুন, আমি কোনো হত্যা মামলার আসামীর সঙ্গে কথা বলব না। তখন সচিব জোর করে ফোন ধরাতে চাইলে আমি তাকে আওয়ামী লীগের দালাল বলি।
তিনি আরও বলেন, এই ঘটনাকে পুঁজি করে একটি পক্ষ আমাদের হেয় প্রতিপন্ন করতে ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফেক আইডি ব্যবহার করে অপপ্রচার চালাচ্ছে। আমি এই ঘৃণ্য চেষ্টার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।
এ বিষয়ে কেয়াইন ইউনিয়ন পরিষদের সচিব দেবাশীষ অধিকারী বলেন, আসলে হুমকি বলতে তেমন কিছু না। উনি আমার কাছে একটা এনওসি নিতে এসেছিলেন, কিন্তু সেটা আমার দেওয়ার এখতিয়ার নেই। আমি শুধু বলেছিলাম - চেয়ারম্যানের সঙ্গে একটু কথা বলেন। এ কথায় তিনি একটু রাগ হয়ে আমাকে বলেছিলেন, আপনি তো আওয়ামী লীগের দালালি করছেন। তবে আমি এ নিয়ে কোথাও কোনো অভিযোগ করি নাই।