খোয়া যাওয়া অস্ত্র উদ্ধারে যৌথ বাহিনীর অভিযান রাত থেকেই শুরু।

নিউজ ডেস্ক | news71.tv
আপডেট : ০৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৪
নিউজ সেভেন্টি ওয়ান ডট টিভি ডেস্ক
খোয়া যাওয়া অস্ত্র উদ্ধারে যৌথ বাহিনীর অভিযান রাত থেকেই শুরু।

জাহাঙ্গীর আলম :

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখে গেল ৫ আগস্ট আওয়ামী সরকারের পতন হওয়ার পর থেকেই সারাদেশে লুটতরাজ করে দুষ্কৃতকারীরা। এর থেকে রেহাই পায়নি থানাগুলো। লুট করা হয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সকল আগ্নেয়াস্ত্র ও গোলাবারুদ সমুহ।  

এদিকে সেনাবাহিনীর সহযোগিতায় মুন্সিগঞ্জ সদর থানা সহ ৭ টি থানার বেশ কিছু আগ্নেয়াস্ত্র গোলাবারুদ উদ্ধার করে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছে সেনাবাহিনীর সদস্যরা। তবে জেলার ৭ টি থানা থেকে কি পরিমান অস্ত্র গোলাবারুদ খোয়া গেছে এবং এর নির্দিষ্ট পরিসংখ্যান দিতে পারেনি মুন্সিগঞ্জ জেলা পুলিশ।  

খোয়া যাওয়া কিংবা লুট হওয়া সকল আগ্নেয়াস্ত্র গোলাবারুদ স্বেচ্ছায় থানায় জমা দিতে বলা হলেও এখনো নিখোঁজ রয়েছে অনেক আগ্নেয়াস্ত্র। আইনশৃঙ্খলা স্বাভাবিক ও থানার কার্যক্রম সচল রাখতে লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধারে যৌথ অভিযান পরিচালনা করা হবে বুধবার রাত থেকেই।

এদিকে গত ২৫ আগস্ট এক গনবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের জারিকৃত প্রজ্ঞাপনে নির্দেশনা অনুযায়ী বিগত ১ জানুয়ারি ২০০৯ থেকে ২০২৪ সালের ৫ ই আগস্ট পর্যন্ত মুন্সিগঞ্জ জেলায় যে সমস্ত আগ্নেয় অস্ত্র লাইসেন্স প্রদান করা হয়েছে।  
যে সমস্ত আগ্নেয়অস্ত্র গোলাবারুদ ৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ তারিখের মধ্যে সকল লাইসেন্স এর বিপরীতে ক্রয় কৃত  আগ্নেয়াস্ত্র গোলাবারুদ সংশ্লিষ্ট থানায় জমা দিতে হবে । 

সেই অনুযায়ী গত ২ সেপ্টেম্বর সোমবার পর্যন্ত মুন্সীগঞ্জের আইনপ্রয়োগকারী সংস্থার কাছে লাইসেন্সকৃত ১৮৪ টি অস্ত্রের মধ্যে ৭৯টি বিভিন্ন ধরনের অস্ত্র জমা দেয়া হয়েছে।

এছাড়াও ৫ আগস্ট মুন্সিগঞ্জ সদর থানা ও টঙ্গীবাড়ী থানা থেকে লুট হওয়া বিভিন্ন ধরনের অস্ত্র মধ্যে মিসিং আগ্নেয়াস্ত্র ৩২ টি। এর মধ্যে রাইফেল ৪ টি, এসএমজি ৪ টি, পিস্তল ১৭ টি, শর্টগান ৮ টি, এবং ৩২৭২ রাউন্ড গুলি রয়েছে। 

সেনাবাহিনী, বিজিবি, কোস্টগার্ড, পুলিশ, আনসার সমন্বয়ে অপারেশন টিম বুধবার রাত থেকেই যৌথ অভিযান পরিচালনা করবে বলে বিশ্বস্ত সুত্রে জানা গেছে।