জিতু রায়: 'জাতিকে মুক্ত করার লড়াইয়ে যারা শহাদাত বরণ করেছিলেন তাদের কথা স্মরণ করে স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের পর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান অঝোরে কেঁদেছিলেন। বাঙালী স্বাধীনতার জন্য পাকিস্তানের বন্দিশালায় থাকা অবস্থায় যে দুরবস্থার মধ্যে কারা জীবন ভোগ করেছেন তা শুধু বঙ্গবন্ধু বলেই সম্ভব হয়েছিলো'-বলেছেন মুন্সীগঞ্জ-গজারিয়া ৩ আসনের সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক এড.মৃণাল কান্তি দাস।
হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৯ তম স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে মুন্সীগঞ্জে আওয়ামী লীগের বিভিন্ন অঙ্গ-সংগঠনের আয়োজিত সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
দিবসটি যথাযোগ্য মর্যাদায় পালনের লক্ষে রবিবার জেলা সদরের পৌর মার্কেট সংলগ্ন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সড়কে এই সমাবেশ ও র্যালী অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মুন্সীগঞ্জ-গজারিয়া ৩ আসনের সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক এড.মৃণাল কান্তি দাস।
সমাবেশের শুরুতেই বিভিন্ন অঙ্গ-সংগঠনের নেতৃবৃন্দের সাথে বঙ্গবন্ধুর অস্থায়ী প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান প্রধান অতিথি।
মুন্সীগঞ্জ জেলা আওয়ামী সেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি আল মাহমুদ বাবুর সভাপতিত্বে ও কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের উপ-আইন বিষয়ক সম্পাদক আপন দাসের সঞ্চালনায় সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন, শহর আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারন সম্পাদক এস এম মাহতাব উদ্দিন কল্লোল, জেলা কৃষক লীগের সভাপতি মহসিন মাখন, জাতীয় শ্রমিক লীগ শিল্পায়ন আঞ্চলিক শাখা মুন্সীগঞ্জ জেলার সভাপতি মো. আবুল কাশেম।
এছাড়াও আরো উপস্থিত ছিলেন, মুন্সীগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি, মোয়াজ্জেম হোসেন, গোলাম মাওলা তপন, যুব মহিলা লীগের সভাপতি মোর্শেদা বেগম লিপি, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি শাহিন মো. আমানুল্লাহ, সদর উপজেলা কৃষক লীগের সাধারন সম্পাদক বাদশা মিয়া, পঞ্চসার ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি জাহিদ হাসান, মুন্সীগঞ্জ পৌরসভার কাউন্সিলর পদপার্থী মকবুল হোসেন, জাকির হোসেন, আব্দুল মান্নান দর্পন, নার্গিস আক্তার, আওয়ামী লীগ নেতা গোলাম কিবরিয়া সহ ছাত্রলীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবকলীগ, কৃষকলীগের হাজার হাজার নেতা কর্মী।
সমাবেশের পর প্রধান অতিথির উপস্থিতিতে র্যালী বের করা হয়। র্যালীটি শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিন করে পুনরায় সমাবেশ স্থলে এসে শেষ হয়। জাতির পিতাকে স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের বিভিন্ন শ্লোগানের মাধ্যমে সমাবেশটি আনন্দমূখর হয়ে ওঠে।