logo

শিরোনাম

মুন্সীগঞ্জে জমে উঠেছে জুতা-স্যান্ডেলের বেচাকেনা

নিউজ সেভেন্টি ওয়ান ডট টিভি ডেস্ক
প্রতিবেদন প্রকাশ: ২৯ এপ্রিল, ২০২২ | সময়ঃ ১২:০০
photo
ছবিঃ নিউজ সেভেন্টি ওয়ান ডট টিভি

 

 

তুষার আহাম্মেদ : পোশাকের সাথে সঙ্গে মানানসই জুতা-স্যান্ডেল মানুষের ব্যক্তিত্বের পরিচয়বাহক। পোশাকের সঙ্গে মিলিয়ে জুতা-স্যান্ডেল পরা এখন কেবল মেয়েদের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নেই। নিজেকে আকর্ষনীয় করে তুলে ধরতে ছেলে-মেয়ে সবাই এখন তৎপর।  

ঈদ ঘিরে পোশাকের পাশাপাশি জুতার দোকানগুলোতেও জমে উঠেছে বেচাকেনা। গতকাল মসজিদ মার্কেট আফতাব প্লাজা,শহরের বিভিন্ন মার্কেট, শ্রীনগর উপজেলার , শ্রীনগর এম রহমান , শ্রীনগর প্লাজা ,বিক্রমপুর শপিং মল , সহ বিভিন্ন জুতার শো-রুম ঘুরে দেখা গেছে ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড়।

বাটা, এ্যাপেক্স, লোটো ও হামকো’র মত নামীদামি ব্র্যান্ডের জুতার চেয়েও পট্টির চটি স্যান্ডেলের প্রতি ক্রেতাদের আগ্রহ বেশি। নামীদামি ব্র্যান্ডের দোকানগুলোর চেয়ে অনেকগুণে ভিড় বেশি স্যান্ডেল পট্টিতে। এবার ঈদে লুঙ্গি ড্যান্স, তাকানো চটি, আর্জেন্টিনা, কলাপুরী, বেগীসহ চায়না চটি নজর কাড়ছে মেয়ে ক্রেতাদের। ১৫০-৭০০ টাকার মধ্যেই সীমাবদ্ধ রয়েছে এ জুতা-স্যান্ডেলগুলোর দাম। 

ছেলেদের জুতার মধ্যে এবার ঈদে স্লিপার , কনভার্স ও সু-এর চাহিদাই বেশি। এ ছাড়া কিছু স্পোর্টস সুও বিক্রি হচ্ছে। চামড়া, রেক্সিন ও কাপড়ের জুতার মধ্যে ডিজাইন ও স্থায়িত্বের ভিত্তিতে দামের হেরফের হয়। চামড়ার স্যান্ডেলের দাম ৬৯০ থেকে ২ হাজার ৪৫০ টাকা, বুট শু এক হাজার ৩৫০ থেকে ৩ হাজার ৬৫০ টাকা, স্নিকার্স ৮৫০ থেকে দুই হাজার ৪৫০ টাকা এবং বিভিন্ন ডিজাইনের মোকাসিন পাওয়া যাচ্ছে এক হাজার ৫৫০ থেকে ৪ হাজার টাকার মধ্যে। আর রাবার বা স্পঞ্জের স্যান্ডেল পাওয়া যাচ্ছে ১৫০ থেকে ৪০০ টাকায়। এবারও বাচ্চাদের জুতায় রয়েছে বাহারি ডিজাইন ও নতুনত্বের ছোঁয়া। ডোরেমন, মটু-পাতলু কার্টুন সংবলিত জুতাই বিক্রি হচ্ছে বেশি। ২৫০ থেকে শুরু করে ৩ হাজার টাকার মধ্যে পাওয়া যাচ্ছে এগুলো।

তানিশা সুজের স্বত্বাধিকারী মো.  মাসুম শেখ জানান, পাইকারিতে জুতা বিক্রি শুরু হয়েছে মূলত রোজার আগে থেকেই। এবার প্রস্তুতিও ভাল ছিল। ঈদে ব্যবসা কেমন হচ্ছে জানতে চাইলে বলেন, এখনও আশানুরূপ বিক্রি হয়নি। তবে কয়েকদিনের মধ্যেই জুতার বাজার জমে উঠবে বলে তিনি জানান। আফজাল সুজের ম্যানেজার নাসির মিয়া জানান, এ মার্কেটে দেশী জুতা বেশ ভাল চলছে। তবে এবার বিদেশী জুতারও বেশ চাহিদা রয়েছে। আরও কয়েকদিন পর জুতার বাজার পুরোপুরি শুরু হবে বলে তিনি জানান। 

ব্যবসায়ী মালিক সমিতির ব্যবসায়ীর জানান, বিগত ঈদ মৌসুমে দোকানভেদে প্রতিদিন দুই থেকে পাঁচ লাখ টাকা বিক্রি হয়েছে। এবার ওই রেকর্ড ছাড়িয়ে যাবে বলে ব্যবসায়ীরা আশা করছেন। জুতার বিকিকিন সম্পর্কে লেদার টেকের স্বত্বাধিকারী মাসুদ আহমেদ বলেন, চীন থেকে আমদানি করা পণ্য বাজার দখল করে আছে। এসব সস্তা জুতার ভিড়ে মার খেয়ে খাচ্ছে দেশীয় জুতা। এজন্য দেশী জুতার কাঁচামালের উচ্চমূল্যকে দায়ী করেন তিনি।

অবশ্য এবারের ঈদ বৃষ্টির  মৌসুম হওয়ার কারণে চামড়ার জুতা বিক্রি নিয়ে কিছুটা চিন্তায় পড়ে গেছেন নন-ব্র্যান্ডের জুতা বিক্রেতারা। এ ব্যাপারে জুতা ব্যবসায়ী মাসুদ আলম বলেন, চামড়ার জুতা বিক্রি অপেক্ষাকৃত কম হতে পারে। বৃষ্টির কারণে আমাদের প্রধান ক্রেতা নিম্নবিত্তের মানুষের মাঝে সিনথেটিক ও রাবার কিছুটা বেশি গুরুত্ব পেতে পারে।

 

  • নিউজ ভিউ 2592