রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ৪৮ তম জাতীয় সমবায় দিবসের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। এ সময় দেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে যোগাযোগ ব্যবস্থার গুরুত্ব তুলে ধরেন শেখ হাসিনা।
বাংলাদেশে এই মুহুর্তে এক কোটি বারো লক্ষ তেতাল্লিশ হাজার এক’শ জন মানুষ সরাসরি সমবায় সমিতির সাথে যুক্ত। এক লাখ সাতাত্তোর হাজার নয়শত ত্রিশ সমবায় সমিতির মাধ্যমে কৃষি, মৎস ও পশুপালন, দুগ্ধ উৎপাদন, মৌ চাষ, নকশা কাথা ইত্যাদি পন্য উৎপাদনের সাথে কাজ করছে এই বিশাল জনগোষ্ঠি। কিন্তু সমবায়ীদের উৎপাদিত এ সকল পন্যের তেমন কোন প্রচার নেই, নেই বাজারজাতকরণেরও ভালো ব্যবস্থা, এমন তথ্যই উঠে এসেছে সমবায় অধিদপ্তরের সমবায় পন্য পুস্তিকা ২০১৯ এ।
বঙ্গবন্ধুর দর্শন সমবায়ের উন্নয়ন এই স্লোগানে ৪৮তম জাতীয় সমবায় দিবসে ২০১৯ এ প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, উৎপাদিত পন্যের সঠিক বাজারজাতকরণ নিশ্চিত করতে হবে। অনলাইনেও বাজারজাত করার ব্যবস্থা করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
কৃষি উৎপাদনে অজ্ঞতার কারণে পানি ও সারের অপচয় হচ্ছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, কৃষি সমবায় সমিতিগুলোর কার্যক্রমে কাঠামোগত সংস্কার জরুরি। বাংলাদেশের মানুষের যেন আর কোন দিন খাদ্যের জন্য হাত পাততে না হয় তার জন্য নিজেদের উৎপাদিত পন্যের মাধ্যমেই চাহিদা মেটানোর তাগিত দেন প্রধানমন্ত্রী। বঙ্গবন্ধু কন্যা বলেন, দেশে টেকসই সমবায় গড়ে তুলতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে।
দেশের আর্থ সামাজিক উন্নয়নে অবদান রাখায় ৪৮ তম জাতীয় সমবায় দিবসে “জাতীয় সমবায় পুরস্কার ২০১৮ “ ১০ টি প্রতিষ্ঠানকে পুরস্কার দেয়া হয়। এর আগে প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের উৎপাদিত পণ্যের প্রদর্শনী ঘুরে দেখেন।